টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বেড়েছে মাসদাইর-বিসিক সড়কে
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে দাবদাহ থেকে মুক্তি মিললেও স্বস্তিতে নেই ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর বিসিক পূর্ব গেট সড়কের বাসিন্দারা। শুধু বৃষ্টিতেই নয়, সারা বছর পানির নিচে তলিয়ে থাকে এ সড়কটি। দুই দিনের বৃষ্টিতে সড়কটিতে জলাবদ্ধতা আরও বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা, দোকানি ও পথচারীরা পড়েছেন ভোগন্তিতে।
মঙ্গলবার (১ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর পাঁচতলার মোড় থেকে শুরু করে বিসিকের পূর্ব গেইট পর্যন্ত সড়কটিতে জলাদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটির আশেপাশে থাকা বাড়ি এবং দোকানগুলোতেও পানি ঢুকে পড়েছে। সড়কে পানি জমে যাওয়াতে ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো চলাচল করছে না। সড়কটি পারাপার হবার জন্য এখন প্যাডেলচালিত ভ্যান এবং রিকশা ব্যবহার করতে হচ্ছে পথচারীদের। সড়কটির বড় গর্তগুলোতে বাঁশ দিয়ে চিহ্নিত করা হলেও ছোটখাটো গর্তগুলোতে ভ্যান এবং রিকশাগুলোকে আটকে যাচ্ছিলো।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুধু বৃষ্টিতেই না সারাবছরই জলাবদ্ধতা থাকে সড়কটিতে। বৃষ্টি হলে পানির উচ্চতা আরো বেড়ে যায়। তখন মৌসুমী কাজ হিসেবে জনপ্রতি ১০ টাকা নিয়ে ভ্যান দিয়ে পথচারীদের পারপার করে থাকেন বিসিকের ডাইংগুলোর ভ্যান চালকরা। তবে সড়কটিতে গর্ত থাকায় কখনো কখনো রিকশা এবং ভ্যান উল্টিয়ে গিয়ে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া সারাবাছর পানি জমে থাকায় নানারকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকাবাসী।
ভ্যানচালক দেলোয়ার জানান, ‘ডাইংয়ের মাল-সামান নিয়ে ট্রিপ মারি। এখন ট্রিপ নাই তাই ভাবলাম বইসা না থাইকা পেসেঞ্জার নিয়া দুই একটা ট্রিপ মারি আলগা কয়টা টেকা আইবো। জনপ্রতি ১০ টাকা কইরা নেই। এই রোডের লেইজ্ঞা বৃষ্টি আর রোদ লাগে না, পানির তলেই থাকে হারা বছর। বৃষ্টি হওনে পানি হাটুর উপরে উইঠ্যা গেছে।’
মাসুম নামে এক যাত্রী জানান, ‘এতো জায়গায় উন্নয়ন হয় কিন্তু যেটার উন্নয়ন হয় না। সরকার না পারলেও ফ্যাক্টরির মালিক যারা তারা তো পারে এই রোডটারে ঠিকঠাক করতে। এই রোড তো ওনাগো শ্রমিকরাই ব্যবহার করে।’
ফুড ডেলিভারি কাজে নিয়োজিত রিয়াদ জানান, ‘শর্টকাট হওয়াতে বাধ্য হয়েই এই রোডটি ব্যবহার করতে হয়। যে নোংরা পানি পায়ে লাগা মাত্রই চুলকানি শুরু হয়। এখানাকার মানুষজন যে কিভাবে থাকে তা আল্লাহ মালুম।’
মুদি দোকানী আসলাম জানান, ‘হালকা বৃষ্টিতে পানি ঢুকে দোকানে পর্যন্ত উঠে যায়। সারা বছর খুব কষ্ট করে দোকান চালাই আর বৃষ্টি হলে তো দোকান খুলতেই পারি না। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা চাইলেই পারে রোডটারে একটু উচা কইরা দিতে।’
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, নির্বাচন আসলেই জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়ে যায়। এরপর আর তাদের দেখাও যায় না। জলাবদ্ধতা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধদের হস্তক্ষেপ দাবি করেন এলাকাবাসী।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম