শহীদের নামে স্থাপনার নামকরণ ও দ্রুত বিচার দাবি সাখাওয়াতের

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, “নারায়ণগঞ্জে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নাম শহীদদের নামে নামকরণ করা উচিত। জনগণের টাকায় নির্মিত স্থাপনায় যাদের কোনো অবদান নেই, তাদের নামে নামকরণ না করে শহীদদের সম্মান জানানো উচিত।”
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত শহীদ পরিবারের সদস্যদের অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের ২১ শহীদ পরিবারের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করে জেলা প্রশাসন।
সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, “কয়লাঘাট এলাকায় একটি ব্রিজ নির্মাণ করে সেটি একটি ডেভিল পরিবারের সদস্যের নামে নামকরণ করা হয়েছিল, যাঁর কোনো অবদান ওই প্রকল্পে ছিল না। জনগণ এরইমধ্যে সেই নাম মুছে দিয়েছে। সেখানে একজন শহীদের নামে নামকরণ করা যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধু রোডসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলোর নাম শহীদদের নামে করা যেতে পারে। এতে শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং সম্মান জানানো সম্ভব হবে।”
মামলার অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, “সাড়ে আট মাস পেরিয়ে গেলেও শহীদদের হত্যার মামলাগুলোর অভিযোগপত্র এখনো দাখিল হয়নি। অন্তত একটি-দুটি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল হলে বিচার কার্যক্রম শুরু হতো। আমরা দ্রুত অভিযোগপত্র দাখিল এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরুর দাবি জানাই।”
সন্ত্রাস দমনের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জ একসময় সন্ত্রাসী জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল। তৎকালীন সরকার-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো মহল্লায় মহল্লায় অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে, যার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। সেই ভিডিওর ভিত্তিতে অভিযোগপত্র দাখিল হওয়া সাধারণ বিষয় হওয়া উচিত।”
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন—স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) ড. মো. মনিরুজ্জামান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইব্রাহিম হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক নিরব রায়হান।