শ্রমিক অসন্তোষ: মধ্যরাতে গ্রেপ্তার শ্রমিক নেতা সেলিম মাহমুদ

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের শ্রমিক সংগঠন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী।
সেলিম শ্রমিক সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিরও সভাপতি।
গত ৯ এপ্রিল দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার রবিনটেক্স (বাংলাদেশ) গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরদিন এই ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় দু’টি মামলা করে। দুই মামলাতেই তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি লিয়াকত।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমাণ্ড আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আদালত বৃহস্পতিবার রিমাণ্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।
যদিও দুই মামলার একটিতেও এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না সেলিম মাহমুদ। শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনার তদন্তে সেলিম মাহমুদের ‘সম্পৃক্ততা’ পেয়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম।
এ ঘটনায় এর আগে ১৯ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে, সেলিম মাহমুদের ছেলে ওয়াজিদ মাহমুদের অভিযোগ, রাতের বেলা দরজা ভেঙে ঘুম থেকে তুলে তার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“দরজা ভেঙে বাবাকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তাকে চর-থাপ্পর এবং লাঠি দিয়া বাড়িও দিয়েছে যৌথ বাহিনী”, বলেন ওয়াজিদ।
তবে, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী বলেন, “মারধরের অভিযোগ মিথ্যা। তাকে সসম্মানে আইন মোতাবেক গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
এদিকে, বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেলিম মাহমুদসহ রবিনটেক্স গার্মেন্টসের গ্রেপ্তার সকল শ্রমিকদের মুক্তির দাবি জানান বাসদের নেতা-কর্মীরা।