ত্বকী হত্যার ১৪৫ মাস: আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচিতে বিচার দাবি

তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ১৪৫ মাস পূর্তিতে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল।
সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি, দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম, শিশু সংগঠক রথীন চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক দীপু, ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ভবানী শংকর রায়, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, বাসদ জেলা সংগঠক সেলিম মাহমুদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষিনাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী, এবং সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা।
ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি সমাবেশে বলেন, “শেখ হাসিনা সাড়ে এগারো বছর ত্বকী হত্যার বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছিলেন। বর্তমান সরকার পুনরায় বিচার কাজ শুরু করলেও এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। ঘাতক ওসমান পরিবারের সদস্যরা বিদেশে পালিয়ে গেছেন, এর দায় সরকার এড়াতে পারে না। আমরা আগামী তিন মাসের মধ্যে ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমানসহ সকল ঘাতকদের বিরুদ্ধে নির্ভুল অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করার দাবি জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা তার সরকারের অধীনে বিচার-ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করেছেন। তার সহযোগিতায় ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জে মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং এটি এখনও বহাল রয়েছে। আজও বিএনপির লোকজন শামীম ওসমানের লোকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। তারা দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে নিজের ছেলেমেয়েকে চোর ও বাটপার বানাচ্ছে।”
এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম বলেন, “ওসমান পরিবার কীভাবে পালিয়ে গেল? শামীম ওসমান নির্দেশ দিয়েছিল ত্বকীকে হত্যা করতে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ত্বকীসহ সকল হত্যার বিচার দাবি করছি।”
সমাবেশে বক্তারা নারায়ণগঞ্জের আশিক, চঞ্চল, বুলু, মিঠু সহ ওসমান পরিবার দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যার বিচার দাবি করেন, সাংবাদিক সাগর-রুনী ও তনু হত্যার বিচার দাবি করেন।