আইন-শৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি বাম জোটের

নারী-শিশু ধর্ষণ ও সহিংসতা বন্ধ, নারী বিদ্বেষী বক্তব্য প্রতিহত, ধর্ষক ও উসকানিদাতার শাস্তি, চুরি-ডাকাতি-মব সন্ত্রাস বন্ধ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, দ্রব্যমূল্য কমানো, সিন্ডিকেট ভাঙা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে বুধবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড হাফিজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন: সিপিবি নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ফোরামের সদস্য সেলিম মাহমুদ, সিপিবি নেতা জাকির হোসেন, নূরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, বাসদ নেতা এস. এম. কাদির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ জেলা সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারহানা চৈতি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, "৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতনের পর জনগণের প্রত্যাশা ছিল সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য বন্ধ হবে, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে। কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখছি। অব্যাহতভাবে মব ভায়োলেন্স, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যা, মাজার ভাঙচুর, মন্দিরে আক্রমণ, আদিবাসীদের ওপর হামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব বন্ধে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।"
তারা বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও তথাকথিত তৌহিদী জনতার নামে থানায় হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করা হয়, এবং পরদিন জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারী ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে, অথচ সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য অনেকাংশে অপরাধীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। আছিয়া ধর্ষণের ঘটনার পর বিশেষত নারী ও ছাত্ররা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে।"
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, "স্বৈরাচারী শাসনামলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হতো। কিন্তু হাসিনার পতনের পরও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ফলে রমজান মাসেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষকে রেশনিং ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে।"
তারা বলেন, "দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে জরুরি সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। আমরা অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।"