শামীম ও সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে আরও ২ হত্যাচেষ্টার মামলা
নারায়ণগঞ্জের আদালতের নির্দেশে পৃথক দুইটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানসহ ৪৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ মামলাগুলো রুজু হয়েছে।
প্রথম মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে শামীম ওসমানকে। ২০২৪ সালের ২১ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ-বাংলা ব্যাংক এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলার অভিযোগ আনা হয়। এতে শামীম ওসমান ও এবং তার ভাই সেলিম ওসমানের নির্দেশে এবং শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরি ওসমান ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আলিফ নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়। মামলা নিতে থানা অস্বীকৃতি জানালে আলিফের বাবা আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালতের নির্দেশে গত ২১ জানুয়ারি মামলা রুজু হয়।
এ মামলায় শামীম ওসমানসহ এজাহারভুক্ত ৫৫ জন এবং ১৫০ থেকে ২০০ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীজাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানসহ ৬৫ জনকে এজাহারভুক্ত এবং ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন। ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিবর্ষণ ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলন দমন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মো. মিরাজ হোসেন নামের একজন আহত হয়ে মামলার আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি বৃহস্পতিবার রুজু করা হয়।
উভয় মামলায় সশস্ত্র হামলা, গুলিবর্ষণ, এবং দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর আলম বলেন, আদালতের নির্দেশে দুইটি মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত শুরু করা হয়েছে।