সাদপন্থীদের মার্কাজ স্থাপন বন্ধ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি
হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল নারায়ণগঞ্জে সাদপন্থীদের মার্কাজ স্থাপন বন্ধ এবং তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন। এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, "নারায়ণগঞ্জে ডিসি ও এসপি নতুন এসেছেন। তাদের নারায়ণগঞ্জের ম্যান্ডেট বুঝতে হবে। তৌহিদী জনতা কোনোদিন অন্যায়কারীদের ছাড় দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও দেবে না। এখানে কোনো ধরনের আস্তানা তৈরির চেষ্টা করলে মাটিসহ উৎখাত করে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেওয়া হবে।"
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, টঙ্গীর ময়দানে সাদপন্থীদের ইজতেমা হতে দেওয়া হবে না। যদি তাদের ইজতেমার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে দেশের লাখো তৌহিদী জনতা কাফনের কাপড় মাথায় দিয়ে লংমার্চ করবে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) হাজীগঞ্জ নতুন সড়ক সংলগ্ন এলাকায় জুমার নামাজের পর আয়োজিত এ সমাবেশে স্থানীয় ওলামা মাশায়েখ, তাবলীগের সাথীবৃন্দ এবং বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদের সমাবেশে বলেন, "সাদপন্থীদের এই আস্তানা দেশ, জাতি এবং ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আতুরঘর। বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসীদের কোনো আস্তানা গড়তে দেওয়া হবে না।"
বক্তারা অভিযোগ করেন, হাজীগঞ্জ এলাকায় তিনটি মসজিদ থাকার পরও সাদপন্থীরা ফিতনা ছড়ানোর জন্য মার্কাজ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে এবং নিরীহ ওলামা ও তাবলীগের সাথীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বক্তারা সাদপন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানান এবং তাদের হাজীগঞ্জ এলাকায় কোনো মার্কাজ স্থাপন করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা জুনাইদ, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মুফতী হারুনুর রশিদ, মুফতী জাকির হোসেন কাসেমী, মাওলানা মাহমুদ, মাওলানা মীর আহমদ উল্লাহ ফুয়াদ, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব সানাউল্লাহ, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম, আলহাজ্ব রাজু আহমেদ প্রমুখ।