১৫ জানুয়ারি ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬:০৫, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৮:০২, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে হাসনাত আব্দুল্লাহ

পুনর্বাসনের আগে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীর বিচার করতে হবে

পুনর্বাসনের আগে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীর বিচার করতে হবে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনর্বাসনের আগে তাদের প্রত্যেক নেতাকর্মীর বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনর্বাসিত হবে কিনা সেটা প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন নয়। আগে তাদের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচারের আগে যারা পুনর্বাসনের কথা বলবে, যারা বলবে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, আমরা ধরে নেব আওয়ামী লীগ যে জাহেলিয়াতের রাজনীতি কায়েম করেছিল সেখানে তাদেরও ইন্ধন ছিল।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণের সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত বলেন, আমাদের পরবর্তী বাংলাদেশ হবে অতীতের রাজনীতির অভিজ্ঞতা ও তরুণ প্রজন্মের ভয়হীন মনোভাবের সংমিশ্রণে। গণঅভ্যুত্থানের একক এজেন্ডার প্রবণতা দেখছি। যদি তরুণদের মাইনাস করার চিন্তা থাকে তাহলে আমরা বলতে চাই, এ আন্দোলনে যত ক্রিয়াশীল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ছিল তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এসে এ ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি। আমরা বারবার বলেছি, সবার আগে আওয়ামী লীগের বিচার হতে হবে। যেসব টকশোজীবী ও বুদ্ধিজীবী এখন আওয়ামী লীগের মানবাধিকারের জন্য সরব হয়েছেন, আপনারাই এতদিন ফ্যাসিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন।

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে কলম লিখবে আমরা সেই কলম ভেঙে দেব। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেসব মিডিয়া, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী কথা বলবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেব। আমাদের তরুণ প্রজন্মের কথা যদি আপনারা বুঝতে ব্যর্থ হন তাহলে আওয়ামী লীগের যে পরিণতির মতো আপনাদের পরিণতি হবে।

হাসনাত বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা বিপ্লবী শক্তি, আমাদের হারানোর কিছুই নেই। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হবে কিনা সেটা এখন সিদ্ধান্ত নতুন করে নেওয়ার কিছু নেই। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হবে কিনা তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে ৫ আগস্ট।

তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মকে আমাদের রাস্তায় নেমে রক্ত দিতে হয়েছে। ভয়কে জয় করতে হয়েছে। আমাদের যে দুর্বৃত্তায়ন, প্রতিহিংসার রাজনীতি, সংস্কৃতি তা তরুণদের আশাহত করেছে যুগের পর যুগ। রাজনৈতিক কাঠামো আমাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। এ ক্ষোভ থেকেই আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়েছি।

হাসনাত বলেন, আমাদের আল্টিমেটাম ১৫ তারিখ পর্যন্ত। অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের কমিটমেন্ট দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রোক্লেমেশন করা হবে। তবে দুঃখজনক হলো আমরা এখনও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। আমাদের উপদেষ্টা বানিয়েছি, আপনারা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আপনাদের যদি মনে হয় এখানে কোনো বাধা আছে সেটা জনগণের কাছে প্রকাশ করুন। আমরা আবারও রাস্তায় নেমে আসবো। যদি ব্যর্থ হন তাহলে উপদেষ্টা থেকে জনগণের কাতারে নেমে আসুন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, সহ-মুখপাত্র আরেফিন মুহাম্মাদ হিজবুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলী, তামিম আহমেদ প্রমুখ।

‘জুলাই বিপ্লব’র ঘোষণাপত্রের দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পরে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা চাষাঢ়া, শিমরাইল ও কাঁচপুর এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি করেন৷

সর্বশেষ

জনপ্রিয়