ত্বকীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
শাসকগোষ্ঠী সব সময় তরুণদের ভয় পায়: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
“দশম জাতীয় ত্বকী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা’২৪”-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই আয়োজন করা হয়।
ভবানী শংকর রায়ের সঞ্চালনায় ও ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব কবি হালিম আজাদ, ত্বকী পদক প্রাপ্ত বিজয়ী দেবশ্রিতা পাল এবং অশেষ লস্কর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর মা রওনক রেহানা।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "ত্বকী সৃজনশীলতার প্রতীক। প্রতিযোগিতা সৃষ্টিশীলতার জন্য। পুরাতনকে ভেঙে নতুনের সৃষ্টি করতে হবে। শাসকগোষ্ঠী সব সময় তরুণদের ভয় পায়, কারণ তারা সমাজের অচলায়তন ভাঙতে চায়। ত্বকী সমাজের ঐক্য নিয়ে কথা বলেছেন, কারণ একতা হলে ক্ষমতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। ত্বকীর ঘাতকদের রক্ষা করার পিছনে শাসকগোষ্ঠীর চক্রান্ত রয়েছে।"
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, "গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার প্রয়োজন। ত্বকী ছিল সম্ভাবনার প্রতীক, কিন্তু অঙ্কুরে তার সম্ভাবনা হত্যা করা হয়েছে। এতদিন কেন বিচার হয়নি, তার জন্য পূর্ববর্তী সরকারের দায় রয়েছে। এখন দ্রুত বিচারের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।"
রফিউর রাব্বি বলেন, "রাষ্ট্রের নিষ্ঠুরতা এবং বর্বরতা ত্বকী হত্যায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। যখন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ঘাতকদের রক্ষা করা হয়, তখন বোঝা যায় রাষ্ট্র কতটা জনবিরোধী। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা দুর্বৃত্ত রক্ষার রাজনীতি থেকে মুক্ত হওয়ার আশা করেছিলাম, কিন্তু তা হয়নি। আজকের দিনে ত্বকী হত্যার সুবিচার নিশ্চিত হোক।"
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিজয়ী ৫০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। ছয়টি বিভাগে শ্রেষ্ঠ ছয়জনকে “ত্বকী পদক” প্রদান করা হয়। সেরা দশজনের লেখা ও আঁকা নিয়ে প্রকাশিত হয় স্মারক “ত্বকী”।