ব্যবসায়ী সাব্বির আলম হত্যা মামলায় জাকির খানসহ সবাই খালাস
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় বিএনপির এক সময়ের ‘ক্যাডার’ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানসহ সকল আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আবুল কালাম আজাদ জাকির।
এ মামলায় খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- জাকির খানের দুই ছোটভাই জিকু খান, মামুন খান, জাকির খানের সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, মনিরুজ্জামান শাহীন, নাজির আহমেদ ও আব্দুল আজিজ। এদের মধ্যে মনিরুজ্জামান শাহীন মারা গেছেন।
২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর মাসদাইর এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে সাব্বির আলম খন্দকারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিট পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সাবেক সহসভাপতি সাব্বির বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও বর্তমানে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ছোটভাই।
২২ বছর পর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
পিপি আবুল কালাম বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারায় আদালত সকল আসামিকে খালাস দিয়েছেন। যিনি খুন হয়েছিলেন তার ভাই তৈমুর আলম খন্দকার সুপ্রীম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনের একজন আইনজীবী, নিহতের মেয়েও একজন আইনজীবী। ওনারা নিজেরাও এই মামলাটি তদারকি করেছেন। এখন এই রায়ের বিপরীতে মামলাটির বিষয়ে পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা বাদীর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, এই মামলায় ৫২ জন সাক্ষীকে তালিকাভুক্ত করা হলেও সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে ২১ জনের। দীর্ঘ সময়ে এ মামলাটি তদন্ত করেছেন অন্তত ৯ জন কর্মকর্তা।