’আস্থা অর্জনের জন্য সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, “ক্ষমতার লোভে স্বৈরাচারী আচরণ করবেন না। প্রয়োজনীয় সংস্কার করুন। তবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার একমাত্র উপায় নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।”
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজ অডিটোরিয়ামে থানা বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার মূল বিষয়বস্তু ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি। সভায় কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ ও তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, “স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার ফ্যাসিবাদের মাধ্যমে রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস করে ফেলেছে। এ বিষয়টি তারেক রহমান উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তাই তিনি রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হলে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে পাড়া-মহল্লা এবং ঘরে ঘরে গিয়ে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে তা উপস্থাপন করতে হবে। আগামী নির্বাচনে জনগণের সমর্থন ও ভোট পেতে হলে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। আস্থা অর্জনের জন্য সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তাই স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে কেউ চিন্তা করবেন না। সবাই জাতীয় নির্বাচনের দিকে মনোযোগ দিন। কেউ যেন ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।”
সভায় থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ শূন্য হওয়ায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সর্বসম্মতিক্রমে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন। উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম. এ. হালিম জুয়েল, সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল, ডি. এইচ. বাবুল, এস. এম. আসলাম, রওশন আলী, এ. কে. এম. সামছুল হক, জি. এম. সাদরিল, মাসুদুজ্জামান মন্টু, যুগ্ম সম্পাদক আবুল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, কামরুল হাসান শরীফ এবং জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব কায়সার রিফাত।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী নুরুন্নাহার, ১-১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্য সক্রিয় কর্মীরা সভায় অংশগ্রহণ করেন। নেতারা সবাই দলীয় ঐক্য ও কার্যক্রম জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।