ডেঙ্গুর প্রকোপে জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়ের আশঙ্কা: গণসংহতি
নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গু সংক্রমন রোধে পথসভা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় পথসভা করে দলটির নেতা-কর্মীরা।
পথসভায় মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব বলেন, ‘আমরা গত ২২ নভেম্বর ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও সিভিল সার্জনের অবহেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করি। সেখান থেকে ৭ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি সাধনে ব্যর্থ হলে আগামী ১ ডিসেম্বর রোববার সিভিল সার্জন কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু চারদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও ডেঙ্গু পরিস্থিতির কোন উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে তাতেই মনে হচ্ছে সত্যিই আমরা জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে যাচ্ছি। আক্রান্ত যত বাড়বে মৃত্যু তত বেশি হবে। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রতিটি মৃত্যুর জন্য সিটি কর্পোরেশন, জেলা স্বাস্থ্যে বিভাগ ও সিভিল সার্জন দায়ি থাকবে।’
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা বলেন, ‘সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখনো পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ২৯০ এর অধিক। মশার কামড় আজ মহামারি আকার ধারণ করেছে। অথচ শুধুমাত্র কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেই করা যেত এর প্রতিরোধ। বিগত বছরগুলোতে আমরা ‘ডেঙ্গু নিধন’ এর কোটি টাকার বাণিজ্য দেখতে পেতাম। প্রত্যাশা ছিল অভ্যুত্থান পরবর্তী এই সময়ে মিলবে প্রতিকার, বাঁচবে প্রাণ! কিন্তু এবারো একই হাল। আমরা মনে করি, সিটি কর্পোরেশন ও সিভিল সার্জনের সদিচ্ছা ও জনতার প্রতি দায়বদ্ধ আচরণ বদলে দিতে শহরের ডেঙ্গু বাস্তবতা।’
ডেঙ্গু সংক্রমন রোধে সাধারণ মানুষেরও সচেতনা প্রয়োজন বলে মনে করেন দলটির নেতারা।
পথসভাটি নগর খানপুর এলাকা থেকে শুরু হয়ে তল্লা রেল লাইন, সর্দারপাড়া, কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনের সড়ক হয়ে খানপুর হাসপাতালে এসে শেষ হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম ছক্কু, গণসংহতির জেলার নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আলমগীর হোসেন আলম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সহসভাপতি সাইদুর রহমান, মহানগর কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. বকুল, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সংগঠক জহির উদ্দিন হীরা, বাবলু মিয়া, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সংগঠক জয়দেব প্রমুখ।