’শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন এই কথা পাগলও বিশ্বাস করে না’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, প্রায় সময় বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা শুনি, উনি (শেখ হাসিনা) নাকি ঠুস করে দেশে ঢুকে পড়বেন। এই কথা পাগলও বিশ্বাস করে না। যার হাতে সরকারের প্রত্যেকটি বাহিনীসহ হেলমেট লীগ, সন্ত্রাসী লীগ, যুবলীগ থাকার পরও যে মহিলা নেতাকর্মীদের রেখে পালিয়ে যায় তিনি আবারও দেশে আসবেন। এই কথা মনে করে যারা মাঝেমধ্যে উঁকিঝুঁকি মারার চেষ্টা করছেন, তাদের বলব- আপনাদের নেত্রী আর কখনো দেশে ফিরবেন না। তাই উঁকিঝুঁকি যারাই মারবেন তারাই এখন বিপদে পড়বেন।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জের খানপুর এলাকায় চিলড্রেন পার্কে ইয়ুথ ফোরাম অব নারায়ণগঞ্জের আয়োজিত যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের নেতা শহীদ মতিউর রহমান নিজামী, শহীদ আলী আহসান মুজাহিদসহ অনেক ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ পালানোর চিন্তা করে নাই। আমাদের নেতা মীর কাশেম আলী ছিলেন আমেরিকায়। উনি তখন জানতেন তাকেও মামলার আসামি করা হবে। তবুও উনি বীরের মতো দেশে আসেন। উনারা এজন্য পালান নাই কারণ তারা জানতেন তারা কোনো অপরাধ করেন নাই। উনারা ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও মাথা নত করেননি। আপনি (শেখ হাসিনা) পালাইলেন কেন? পালাইছেন এই কারণে আপনি যে পরিমাণ অপরাধ করছেন যে না পালালে পিঠের চামড়া থাকবে না। যে ট্রাইব্যুনালে আমাদের নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল সে ট্রাইব্যুনালেই আজ শেখ হাসিনাসহ তাদের লোকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, অবিলম্বে শেখ হাসিনাসহ সব ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করে ফাঁসির কাস্টে ঝুঁলানোর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনো ফ্যাসিবাদের যেসব দোসর রয়েছেন তাদের অবিলম্বে অপসারণ করে সৎ, দক্ষ, ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বসাতে হবে।
ইয়ুথ ফোরাম অব নারায়ণগঞ্জের সভাপতি মুহাম্মদ জামাল হোসাইনের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের ইসলামীর যুব বিভাগ ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব যুবাইর, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম খান মিলন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর মুহাম্মদ আবদুল জব্বার প্রমুখ।