এদেশে আমেরিকা-রাশিয়া-ভারতের গোলামি চলবে না: মাসুম বিল্লাহ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, রাজনীতিতে আদর্শিক ও গুণগত পরিবর্তন ছাড়া গণমানুষের মুক্তি আসবে না। বার বার নেতা ও দল পরিবর্তনে কোন কাজে আসবে না। যত দিন পর্যন্ত আদর্শভিত্তিক ন্যায়পরায়ণ, আল্লাহভীরু শাসক না আসবে, তত দিন পর্যন্ত শান্তির আশা করা বৃথা। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়েছে মুসলমান। আজও টুপি পরে অনেক অফিসে ঢোকা যায় না। দাড়ি রেখে অনেক জায়গায় যাওয়া যায় না। মুসলমান দেখলেই কটূক্তি করা হয়। মুসলমানদের সন্ত্রাসী বলা হয়। বোরকা পরা নারীদের চাকরি দেওয়া হয় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দাড়ি-টুপি রেখে চলা যায় না। সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার হয়েছে মুসলমান। এরপর বৈষম্যের শিকার হয়েছেন আলেমরা ও কওমি মাদ্রাসার আলেমরা। এ দেশ মুসলমানদের। এ দেশ অন্য কারও নয়। তবে দেশে সবার অধিকার রয়েছে। ইসলাম অনুযায়ী দেশ শাসন চলবে। আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, জাপানের সঙ্গে ও যাঁরা ভারতের গোলামি করেন, তাঁদের শাসক হিসেবে দেখতে চাই না।
শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২১ নং ওয়ার্ড শাখার গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ২১নং ওয়ার্ড সভাপতি মুহা. ইমাম হোসেনের সভাপতিত্বে গণ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নগর সহ-সভাপতি নুর হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নগর অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি আলহাজ্ব হাসান আলী, আবুল হাশেম, অর্থ সম্পাদক মুহা. ইসমাইল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
তিনি আরও বলেন, গণহত্যাকারীরা দেশ থেকে কিভাবে পালালো তার জবাব কে দেবে? তিনি বলেন, উপদেষ্টা সরকার জনগণের সবচেয়ে শক্তিশালী সরকার। কিন্তু কার ভয়ে তারা কঠোর কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
প্রধান বক্তা নূর হোসেন বলেন, যদি ইসলামি অর্থনীতি চালু হয়, তাহলে আগামী পাঁচ বছরে দেশে কোনো গরিব থাকবে না। দেশে যে অর্থনীতি চালু আছে, সেটা গরিবকে আরও গরিব বানাবে। ধনীরা আরও ধনী হবে। তিনি বলেন, কোনো ইসলামবিদ্বেষী ও সমাজ বিধ্বংসী বিকৃত রুচির মানুষকে আমরা বাংলাদেশে উপদেষ্টা দেখতে চাই না।