০২ নভেম্বর ২০২৪

প্রকাশিত: ১৯:৫৭, ২২ অক্টোবর ২০২৪

হেফাজত কর্মী হত্যা মামলায় সাবেক এসপি-এমপিরা আসামি

হেফাজত কর্মী হত্যা মামলায় সাবেক এসপি-এমপিরা আসামি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হেফাজত কর্মী ইকবাল হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক এসপিসহ ১২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত সোমবার (২১ অক্টোবর) সোনারগাঁ থানায় মামলাটি দায়ের করেন শাহজাহান শিবলী।

মামলার বাদী হেফাজতে ইসলামের সোনারগাঁ উপজেলা কমিটির সদস্য।

ইকবালের মৃত্যুর তিন বছর পর করা এই মামলায় নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সাবেক জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, সাবেক সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, সোনাগাঁ থানার সাবেক ওসি হাফিজুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হক তার স্ত্রীসহ গত ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্ট হোটেলে অবকাশ যাপনের জন্য আসেন। ওই সময় দুই সাবেক সাংসদের ষড়যন্ত্রে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় আসামিরা মামুনুল হককে স্ত্রীসহ হেনস্থা করে রিসোর্ট থেকে বের করে দেয়। পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সোনারগাঁয়ের হেফাজত কর্মী মাওলানা ইকবাল হোসেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় মামুনুল হককে স্ত্রীসহ হেনস্থার জোরালো প্রতিবাদ করেন। এ সময় আসামিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিল, ঘুষিসহ লোহার রড দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

আহত অবস্থায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করে। ওই সময় পুলিশ তাকে রিমান্ডের নামে পুলিশ নির্যাতন করে। নির্যাতনে ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করে। অসুস্থ অবস্থায় তিনি ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় মারা যান।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।
এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী।
১৮ এপ্রিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ। 
চলতি বছরের গত ৪ এপ্রিল ধর্ষণ মামলাটিতে জামিন পান মামুনুল।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়