২৪ এপ্রিল ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:৪১, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

রানা প্লাজা ধ্বসের ১২ বছর: গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের বিক্ষোভ

রানা প্লাজা ধ্বসের ১২ বছর: গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জে রানা প্লাজা ধ্বসের ১২ বছর পূর্তিতে ‘নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত, দায়ীদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ প্রদান’ সহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সহসভাপতি হাসনাত কবির। বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম কাদির, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি রুহুল আমিন সোহাগ, কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শাখার সভাপতি আনোয়ার খান এবং গাবতলী-পুলিশ লাইন-টাগারপাড় শাখার সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম।

নেতৃবৃন্দ বলেন, “২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে ১১৩৭ শ্রমিক নিহত ও আড়াই হাজারের বেশি আহত হয়। এটি ছিল ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনা। অথচ এখনও পর্যন্ত দায়ী মালিকদের শাস্তি হয়নি, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরাও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন পায়নি।”

তারা বলেন, “আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী শ্রমিকদের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি আগুনে পোড়া বা ভবন ধসের সব ঘটনায় দায়ী মালিকদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

সমাবেশে বক্তারা গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সেলিম মাহমুদের মুক্তির দাবি জানান। তারা বলেন, “গত ১৫ এপ্রিল যৌথ বাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করে রবিনটেক্স গার্মেন্টসের শ্রমিক আন্দোলনের পূর্বের দুটি মামলায় সংযুক্ত করেছে, যার মধ্যে একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলা।”

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, “শ্রমিকদের ইউনিয়ন গঠনের প্রচেষ্টা দমন করতে মালিকপক্ষ একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। ইতিমধ্যে ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ২২ জন শ্রমিক গ্রেফতার এবং ৮ জন এখনও কারাগারে রয়েছে।”

তারা আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব ছিল শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা। কিন্তু এই সরকারও আগের সরকারের মতো শ্রমিক দমননীতির পথেই হাঁটছে। এর ফলে সরকারকে ভবিষ্যতে কঠিন প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হবে।”    

সর্বশেষ

জনপ্রিয়