০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:৪১, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের স্মারকলিপি 

রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের স্মারকলিপি 

ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইকের লাইসেন্স, চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও আধুনিকায়নের দাবিতে বুধবার দুপুর ১২টায় রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিনিধি দল বিআরটিএ চেয়ারম্যান বরাবর জেলার সহকারী পরিচালকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন: সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি জামাল হোসেন, সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ হাসনাত কবীর, কামাল হোসেন, তাজুল ইসলাম, শফিক ও মাসুদ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রিকশা চালানো অত্যন্ত পরিশ্রমসাধ্য কাজ। প্রচণ্ড গরম, বৃষ্টি কিংবা শীত উপেক্ষা করে চালকরা দিন-রাত যাত্রী সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের পরিশ্রম লাঘব ও যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বিবেচনা করে দেশীয় প্রযুক্তিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে সারাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

তারা আরও বলেন, সারা দেশে প্রায় ৫০ লাখ চালক ও তাদের পরিবার এই ব্যাটারিচালিত যানবাহনের উপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া, এই যানবাহন তৈরির সঙ্গে যুক্ত খুচরা যন্ত্রাংশের ব্যবসা, চার্জিং স্টেশন ও মেরামতের কাজে অসংখ্য মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছে। নগর পরিবহন ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না থাকায় কোটি কোটি মানুষ ব্যাটারিচালিত যানবাহন ব্যবহার করছে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

নেতৃবৃন্দ আরও জানান, ব্যাটারিচালিত যানবাহন বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী হলেও বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, চালকরা বর্ধিত দামে বিদ্যুৎ কিনে ব্যবহার করে থাকেন। সরকার যদি দ্রুত নীতিমালা চূড়ান্ত করে নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রদান শুরু করে, তাহলে সরকার রাজস্ব খাতে কয়েক হাজার কোটি টাকা যোগান দিতে পারবে।

স্মারকলিপিতে উত্থাপিত দাবিসমূহ: ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত ও দ্রুত গেজেট প্রকাশ করতে হবে। নীতিমালার আলোকে ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইকের নিবন্ধন, লাইসেন্স ও রুট পারমিট প্রদান করতে হবে। কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন নিশ্চিত করতে হবে। চার্জিং স্টেশন স্থাপন করে বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগার সমৃদ্ধ করতে হবে। চালকসহ সংশ্লিষ্টদের ট্রাফিক সংক্রান্ত পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে সড়কের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। চাঁদাবাজি, হয়রানি, অবৈধ রেকারিং ও ডাম্পিং বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন তৈরি করতে হবে, যাতে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়