১২ দফা দাবিতে মনির নীটের শ্রমিকদের মানববন্ধন
নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন, শ্রম আইন অনুযায়ী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বেতন পরিশোধ, সবেতনে মাতৃত্বকালীন সুবিধা, অসুস্থ হলে চিকিৎসা ছুটি ও সুবিধা, সকল শ্রমিকদের গ্রেড অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ, বছর শেষে অর্জিত ছুটির টাকা প্রদান সহ ১২ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে মনির নীট এ্যাপারেলস্ লি. কারখানার শ্রমিকরা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানবন্ধন করে তারা।
মানবন্ধনে কারখানার শ্রমিক শেফালী বেগমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সংহতি জানিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, সহ সভাপতি ও গাবতলী পুলিশ লাইন শিল্পাঞ্চল শাখার সভাপতি হাসনাত কবির, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি রুহুল আমিন সোহাগ, কাঁচপুর শিল্পাঞ্চাল শাখার সহ সভাপতি আনোয়ার খান সহ কারখানার শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মনিরা গার্মেন্টস্ মালিক বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানা পরিচালনা করে না, কোন কালেই সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করে নাই, ৭ কর্মদিবসে বেতন পরিশোধ করে না, সবেতনে মাতৃত্বকালীন সুবিধা প্রদান করে না, বছর শেষে অভোগকৃত ছুটির টাকা পরিশোধ করে না, শ্রমিক অসুস্থ্য হলে কোন ছুটি বা টাকা পরিশোধ করে না। মালিক শ্রমিকদের থেকে দুই বেতন সীটে স্বাক্ষর রাখে। একসীটে দেখানো হয় সরকারের ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন হয়েছে। আরেকসীটে ৭-৮ হাজার টাকা বেতন দেওয়া লেখা থাকে। মালিক প্রতারক, যা বুঝতে পারি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শ্রমিকেরা গত ১৪ অক্টোবর ১২ দফা দাবি নামা মালিকের নিকট দেয়। কিন্তু মালিক দাবি বাস্তবায়নে কোন প্রতিউত্তর করেন নাই তাই শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করছে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে। উক্ত দাবিনামা পত্রের অনুলিপি শ্রম সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে প্রদান করেছে। তারপরও দাবি বাস্তবায়ন হয় নাই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে পট পরিবর্তন হয় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার পদত্যাগ করে এবং দেশ থেকে পলায়ন করে। কিন্তু তাদের দোসররা মালিকগণ শ্রমিকদের অধিকার বঞ্চিত করে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এদিকে নিত্যপণ্যের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে শ্রমজীবিদের জীবন বাঁচাতে হাসফাস করছে। তাই অবিলম্বে শ্রমিকদের ১২ দফা দাবি দ্রæত বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বোচ্চ আইনী ব্যবস্থা নিতে সকল শ্রম সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিকট আহবান জানান শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। নতুবা আন্দোলন সকল শিল্প সেক্টরে ছড়িয়ে পড়লে দায়ী থাকবেন মালিক কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।