২৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:২২, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবৈধভাবে কারখানা লে-অফের প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

অবৈধভাবে কারখানা লে-অফের প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার জনি টেক্সটাইল কারখানায় অবৈধভাবে লে-অফের চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শ্রমিকরা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের চাষাঢ়াস্থ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফতুল্লার চাঁদমারীস্থ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শ্রমিকরা কারখানা মালিককে দ্রুত গ্রেফতার, অবৈধভাবে লে-অফ প্রত্যাহার এবং শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধের দাবি জানান।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল জানান, জনি টেক্সটাইলে ৬২৮ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর কারখানাটির মালিকপক্ষ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে একটি চিঠি নিয়ে আসে যাতে উল্লেখ করা হয়েছিল, তারা ১ সেপ্টেম্বর থেকে কারখানটি লে-অফ করেছে। অথচ এটি সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। যা কারখানাটির শ্রমিকরা মানেন নি। কলকারখানা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও মানেন নি। পরে শ্রমিকরা এ বিষয়ে কলকারখানা অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক ও জেলা প্রশাসকের বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকও কলকারখানা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত অভিযোগ দাখিলের নির্দেশনা দেন।

এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর কলকারখানা অধিদপ্তর এ বিষয়ে শুনানিতে উপস্থিত থাকার জন্য প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু ওই শুনানিতে মালিকপক্ষ না এসে তারা আবারো অবৈধভাবে লে-অফ ঘোষণার চেষ্টা করেন। মালিকপক্ষের হয়ে একজন প্রতিনিধি এদিন অপর একটি কাগজে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে লে-অফ করা হয়েছে সেটা লিখে আনে। এটিও সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। মালিকপক্ষ শ্রম আইন মানেন নি, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনাও মানেন নি। এতে করে কারখানাটির শ্রমিকরা বিক্ষুব্দ হয়ে উঠে। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। শ্রমিকদের ৩টি দাবি হচ্ছে, মালিককে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। অবৈধভাবে লে অফ প্রত্যাহার করতে হবে এবং শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন উপ-মহাপরিদর্শক রাজীব চন্দ্র দাস জানান, কারখানাটির কর্তৃপক্ষ গত ২২ সেপ্টেম্বর একটি চিঠি নিয়ে আসে যাতে ১ সেপ্টেম্বর থেকে কারখানাটি লে-অফ করা হয়েছে বলে উল্লেখ ছিল। যা শ্রম আইনের বিধি বর্হিভূত। শ্রমিকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার তাদের শুনানিতে ডাকা হলে মালিকপক্ষ কেউ আসেনি। তারা একজন আইনজীবীর মাধ্যমে আবারো নিয়ম বর্হিভূতভাবে লে-অফের চিঠি নিয়ে এসেছে। এতেই শ্রমিকরা বিক্ষুব্দ হয়ে উঠে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়