সাদামাটা-সহজ কথা
সাদামাটা শব্দটি খুব প্রচলিত এবং আমরা প্রায়ই হারহামোশায় উচ্চারণ করে থাকি। কিন্তু ঐ ছোট্ট শব্দটির গভীরতা আমরা ভেবে দেখেছি কি? সাদামাটা সবকিছু সবসময় আমাদের কিংবা আমাদের পূর্বসূরিদের প্রত্যাশিত ছিল। সেই প্রত্যাশা পূরণে নিজের লোভ, হিংসা, রাগ মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতো। আমাদের স্কুল জীবনে শিক্ষকরা বলতেন ঘুষ খাবিনা, চুরি করবিনা আর মিথ্যা বলা মহাপাপ। মানুষের চাহিদা মেটানো অসম্ভব কিন্তু প্রয়োজন মেটানো যায়। চাহিদা আর প্রয়োজনের মাঝখানে আমরা কেমন যেন আটকে গেছি। বের হতে পারছিনা। বের হওয়ার চেষ্টা কি আদৌ করছি? যে সময় এই লিখা টা লিখছি এই সময়ে মূল ধারার গণমাধ্যম, সামাজিক মাধ্যমে আজিজ কান্ড, বে- নজির কান্ড দেখছি। কিছুকাল আগে দেখেছি ক্যাসিনো কান্ড, এর আগে পাপিয়া কান্ড। কোরবানি ঈদে দেখলাম ছাগল কান্ড। সামনে আশাকরি আরো কান্ড দেখবো বা শুনবো। এই কারনেই বলছি এই সকল কান্ডের মালিকেরা একা নন। উনাদের সভাসদ আছেন।কান ঠিকমতো টানলে অনেককিছুই আসতে পারে, হয়তো। সেটা ছোট বড় কিংবা মাঝারি। এই কান্ড গুলো একা ঘটানো যায় না। পারস্পারিক যোগসাজশের প্রয়োজন হয়। ভুলে গেলে চলবে না আমরা বালিশ কান্ডও দেখেছি। এই সকল কান্ডের নায়ক নায়িকারা রাষ্ট্রের পৃষ্টপোষকতা ছাড়া পেরেছেন কি? সম্ভব হয়েছে? প্রশ্নটা প্রিয় পাঠকের কাছেই রাখছি। অনেকে বলবেন ধরা হয়েছে বিচার হচ্ছে বা হবে কিন্ত থামছে না তো! এরা উৎসাহ বা সাহস পাচ্ছে কোথা থেকে?গোড়ায় হাত দেয়া জরুরী।
এরাই যদি নায়ক হয় তবে খল নায়ক/নায়িকারা কে বা কারা? সময়টা উল্টে গিয়েছে নায়কের স্থানে খল নায়ক আর খলনায়কের স্থানে নায়ক। বাসে ট্রেনে লিখা থাকে ব্যবহারেই বংশের পরিচয়। বংশ বলতে আমি শিক্ষাকেই ধরে নিচ্ছি। আরেকটা কথা শুনতাম মুরুব্বিদের কাছ থেকে গাঙ্গের জল ঘোলা ভালো, জাতের মেয়ে কালো ভালো। কালো বলতে আমি মনে করি মনুষ্যত্ব, মানবিক আর বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষ।
গ্রিক দার্শনিক ডায়োজেনিস মানুষ খুঁজতেন। আসলেই মানুষ আর স্তাবক-দল দাস আর দল কানার মধ্যে পার্থক্য আছে। অতি ভক্তি চোরের লক্ষন। পেশাদারিত্ব নয় দল দাস, চাটুকাররা যখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় ব্যতয়টা ঘটে তখন। মানুষের এক জীবনে লাগে কত? সাবেক পুলিশ প্রধান বে-নজির সাহেব এক দিনে নাকি এক হালি ফ্ল্যাট গুলশানে কিনেছেন। যে দেশে বর্তমানে নিম্নবিত্ত বা দরিদ্র মানুষ এক হালি ডিম কিনতে পারেছেনা হিমশিম খাচ্ছে। সেই দেশে বে-নজির একদিনে একসাথে কিনছে এক হালি ফ্ল্যাট!
এই লজ্জা কার?
"Power and profit in few hands." এই যদি হয় অবস্থা তাহলে কি এটাই বিধি, ভাগ্য বা নিয়তি বলে মেনে নিতে হবে? মোটেই না। জনতার নিরবতা এক বিরাট প্রতিবাদ।
এই প্রতিবাদের ভাষা যায় কি বুঝা? জনতার মন পাঠের যোগ্যতা রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের আছে তো ? কিন্তু ভাবে মনেহয় উনারা শুনছেন কিন্তু দেখছেন না। রাষ্ট্রের মানুষের মন পাঠ করতে না পারলে বিপদ আসবেই আর ক্ষতি হবে দেশ ও দেশের জনগনের। কার জন্য রাজনীতি? জনগনের জন্যই তো। যে রাজনীতিতে জনগন উপেক্ষিত যেখানে, সেখানে রাজনীতি কি দিচ্ছে তাদের? নাগরিক জীবনে ঘর ভাড়া, নিত্যপন্যের বাজার থেকে বিদুৎ হয়ে শিক্ষা আর চিকিৎসা ব্যয় কোথায় স্বস্তিতে আছে সাধারণত মানুষ? উন্নয়ন হচ্ছে উন্নয়ন আরো হবে কিন্তু সেই উন্নয়নের সাথে সম্পর্ক থাকবে তো সাধারণ মানুষের? খেটে খাওয়া শ্রমিক ঢাকা শহরে কাজ শেষে মেট্রোরেলে চড়ে ঘরে ফিরতে পারছে তো? মতিঝিলের ছোট্ট দোকানি মেট্রোরেলে চেপে উত্তরা থেকে এসে দিন শেষে নির্দিষ্ট ভাড়া দিয়ে ঘরে ফিরতে পারছে তো অবশেষে? যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন অবশ্যই প্রয়োজন কিন্তু মানবসম্পদ উন্নয়নে কতটুকু উৎসাহী চিন্তকরা। আওয়ামী লীগের জন্মের পর থেকেই ছিলো গরীব মানুষের দল। ধীরে ধীরে অসম্প্রদায়িক দল হিসেবে বিকশিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধু ও তার অনুসারীদের হাত ধরে। আজ আওয়ামী লীগের অবস্থান কোথায়?
আওয়ামী লীগে কিছু পরজীবি ছাড়া, প্রকৃত আদর্শিক কর্মীরা কেমন আছেন?সাদা চোখে তাকালেই বঞ্চিত নেতা কর্মীর দল চোখে পড়ে।বিভিন্ন সুত্রে পদ বাণিজ্যের সংবাদও পাওয়া যায়,যেখানে আদর্শ নয় অর্থই পদ প্রাপ্তির মুল কথা! দেশের ধন ও আয় বৈষম্য পরিস্কার দৃশ্যমান। মার্টিন লুথার কিং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়েছেন জীবনও দিয়েছেন। আমাদের দেশের রাজনীতিতে হোয়াইট কালারদেরই প্রাধান্য। আদর্শিক নেতা কর্মীর জায়গা কোথায়? মানি মাসলের প্রতাপে, তারা প্রায় বিলীন। বহু আগে জেনেছিলাম প্রেম পারফিউম আর টাকা নাকি লুকানো যায় না, এখন দেখছি সেই শোনা কথা সত্য।চারদিকে সিদেল চোরদের টাকা সম্পদ বেরিয়ে আসছে। এরা রাষ্টের ঘরে চুরি করেছে, প্রতিষ্ঠানের পদ পদবী ব্যাবহার করে ক্ষমতার প্রভাবে চুরি করেছে আর নিঃস্ব হচ্ছে দেশ ও দেশের মানুষ। চোরদের মহাউৎসবে ধন আর আয় বৈষম্য দৃশ্যমান। “স্বাধিনতা আমার অহংকার-দুর্নীতি আর বৈষম্যকে করো তিরস্কার” মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বৈষম্য বেমানান। ঘুষ, দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতা ব্যাংক লুট, লু্টপাট, টাকা পাচার, দখল বাজি, কিশোর গ্যাং, সিন্ডিকেট বানিজ্য সবই চলছে দেদারচ্ছে, সবাই জেনো টিনের চশমা পরে আছেন। প্রিয় স্বদেশের এই রুগ্নদশা পরর্বতী প্রজন্ম দেখবে এই আশায় অকাতরে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দেননি, মা-বোনেরা পাকিস্তানি হানাদার আর রাজাকার, আলবদর দ্বারা নির্যাতীত হয়েও শোষন মুক্ত, সম তার বাংলাদেশের প্রত্যাশায় নির্যাতন সয়েছেন। আমরা দেখছি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় জাল-জালিয়াতি! কি দুর্ভাগ্য আমাদের।
স্বাধিনতার ঘোষনা পত্রে স্পষ্ট ছিলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর সামাজিক ন্যায় বিচার। কোথায় সেই ত্রী-মন্ত্রের বাস্তবায়ন? কোথায় ৭২ এর সংবিধানের চার মুলনীতি ও তার পূর্ণ বাস্তবায়ন? বঙ্গবন্ধু তার শাসন আমলে মজুদদার, মুনাফাখোর, দুর্নীতিবাজদের চাটার দল-চোরের দল বলে বহুবার তাদের হুশিয়ারী দিয়েছেন। আজ দল দীর্ঘ ১৫ বছর ৭ মাস ক্ষমতায়, কেনো আওয়ামী লীগ পুরানো সেই চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে? এখান থেকে বের হওয়ার পথ কি নীতি নির্ধরনীরা খুজছেন নাকি সব ঠিক আছে বলে চালিয়ে যাচ্ছেন,যেমন চলছে গাড়ি যাত্রা বাড়ি।যখন সব ঠিক থাকে তখন বুঝে নিতে হবে যে কিছুই ঠিক নাই।বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আজ কোন তিমিরে দাড়িয়ে?ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশলে ছোট ছোট আপোস আজ আপোষের মহাসাগরে রুপান্তরিত হয়েছে।পাকিস্থান আমলের ২২ পরিবারের বিপরীতে আজ লক্ষ পরিবার ছাড়িয়ে গেছে। ক্ষমতার ছত্রছায়ায় কিছু মানুষকে আঙুল ফুলে কলা গাছ হতে দেখা যায়! এর কারন কি,তারা আলাদিনের চেরাগ পেয়েছে বিষয়টি কি এমন?ঢাকায় একাধিক ফ্লাট, দামি একাধিক গাড়ি, বাগান বাড়ি, বিদেশে বাড়ি আজ অসৎ রাজনীতিক, ব্যাবসায়ী, আমলাদের ফ্যাশনে পরিণীত হয়েছে।মাঝারি কিংবা খুচরারাও এই দৌড়ে এগিয়ে আছে, তারাও কম যান না। সুযোগ বুঝে সুবিধা আদান প্রদানের হিসেবে এই সুবিধা ভুগিরা দল ও রাষ্ট্রের
বুকে বসে চোখে প্রতিনিয়ত ঠোকর দিয়ে যাচ্ছে, ক্ষতিটা হচ্ছে দেশ এবং দেশের সাদামাটা সাধারন জণগনের। ক্ষমতায় যেহেতু আওয়ামী লীগ দায়টা তাকেই নিতে হবে। সুবিধাবাদের বেড়া খেয়ে ফেলছে না তো আওয়ামী লীগের অর্জন। তাই সাধু সাবধান।
এরশাদ পতনের পরে তিন জোটের রুপরেখা, ছাত্রদের ১০ দফা, ১৪ দলের ২৩ দফা। সকল দফাই প্রায় উপেক্ষিত হলো। এরশাদ পতন থেকে আজ পর্যন্ত সকল প্রতিশ্রুতি বাতাসেই মিলে গেছে। রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের প্রত্যাশা করি তবে গোষ্ঠিতন্ত্রের কাছে সে আজ খুব অসহায়। গণতন্ত্রের বিকল্প অবশ্যই গোষ্ঠিতন্ত্র নয়। সময় নিতে পারে তবে শেষ হাসি গণতন্ত্রই হাসবে। ৭২ এর সংবিধানের মুল চারনীতি আজ উপেক্ষিত হচ্ছে। গনতন্ত্র আজ ঘর ছাড়া ভোট প্রদানের আগ্রহ হারিয়েছেন জনতা, ভোট মানেই গণতন্ত্র আমি সে কথা বলছি না, তবে ভোট গণতন্ত্রের প্রাথমিক সৌন্দর্য, ধর্মনিরপেক্ষতা কোথায়? দেশের রাজনীতিতে ধর্ম বহমান। জামাত নিষিদ্ধ হয়নি, হেফাজতের সাথে গোপন সন্ধি, মৌলবাদি উগ্রবাদিরা কোণঠাসা কিন্তু নির্মুল হয়নি, শুধু প্রশাসন দিয়ে সঠিক নির্মুল হবে না।প্রয়োজন আদর্শ দিয়ে আদর্শের মোকাবেলা সেটা পরিলক্ষিত হচ্ছেনা আওয়ামী লীগ এক সময়ে আদর্শিকভাবে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়েছিলো, আজ আওয়ামী লীগ কোথায় দাঁড়িয়ে?
চার মুলনীতির অন্যতম সমাজতন্ত্র, সে কোথায়?বৈষম্যের তীব্র আক্রমন ও নির্যাতনে, সমাজতন্ত্র বনবাসে। তবে সমাজতন্ত্রই পারে সকল শোষণ-বৈষম্য থেকে জনতাকে মুক্তি দিতে। সমাজতন্ত্র ছাড়া সাদামাটা মেহনতী-শ্রমজীবি সাধারন মানুষের মুক্তির বিকল্প কোনো পথ নাই।
খালেদা জিয়ার আমলে খেলাপী ঋণ ছিলো ২৩ হাজার কোটি টাকা আজ সেটা এসে দাড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা, তাহলে কি “যতবড় ঝুলি ততবড় চুরি”?দেশ থেকে প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম (তথ্যসুত্রঃআজকের পত্রিকা,প্রকাশ ২০জুন ২০২৪,১৬ টা ৪২) একদিকে টাকা পাচার হচ্ছে আর সরকার ঋণ করছে।ঋণে জর্জরিত হচ্ছি প্রতিদিন, মাথাপিছু ঋণ দেড় লাখ টাকা।রাজনৈতিক, আর্থিক, সামাজিক অস্থিরতায় আমরা যাচ্ছি কোথায়? অবকাঠামো উন্নায়নে যে পরিমান বিনিয়োগ হচ্ছে সে তুলুনায় মানব সম্পদ উন্নায়নে বিনিয়োগ হচ্ছে কি? শিক্ষা- সংস্কৃতিতে ব্যায় বরাদ্দ বা বিনিয়োগ কতটুকু?মানব সম্পদকে বিকশিত করতে রাষ্টের যত্নের অভাব রয়েছে এর কারনও রয়েছে। কারন মানুষ শিক্ষায় দীক্ষায় সচেতন দেশ প্রেমিক হলে লুটেরারা বিপদে পরবে।সমাজে উচিৎ বক্তা বা সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলার মানুষ কমে যাচ্ছে।নাই সেকথা বলবো না তবে, অধিকাংশই কিছু সুবিধা পাওয়ার আশায় হাত পেতে রয়েছে।
দলে সংগঠনে চাটুকারদের আধিক্য দেখা যায়, যারা “সুসময়ের বাহাদুর দুঃসময়ে বহুদুর”, এরা জায়গাও করে নেয়। কেনো জানি নেতা নেত্রীরা এদের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকেন। এই সকল মুস্টিমেয় বাহাদুরদের থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়। সংসদ সদস্য হলে ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি (এবার বাজেট প্রস্তাবে সল্প শুল্ক জুড়ে দিয়েছিলো কিন্ত সেই প্রস্তাব আর টিকলো না কাদের স্বার্থে? কোন শ্রেনীর স্বার্থে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হলো? প্রিয় পাঠকের কাছে প্রশ্নটি রইলো) প্লট নাই, এলাকার দাপট আর মসনদ নাই, রাজনীতির সাথে থাকলে বিত্ত বৈভবের সুযোগ নাই। পদ পদবীতে আয় নাই। দেয়া ছাড়া নেয়া নাই।এমন হলে কতজন দেশ প্রেমিক সেচ্ছাসেবী এই কাজ করতেন? কতজন রাতারাতি সাজতেন রাজনীতিবীদ? অনেকেই করতেন, অতীতে করেছেন, এখনো অনেকে করছেন, ভবিষ্যতেও করবেন, ছেড়ে যাবেন শুধু সুসময়ের বাহাদুররা।
রাজনীতির কর্মী ম-তে মানবতা বোঝে আর ব্যাবসায়ী রাজনীতিক সে ম-তে বোঝে মুনাফা। ব্যাবসায়ীর আছে মানি আর তাই তার আছে মাসল আর বেচারা আদর্শিক কর্মী তার আছে আদর্শ। আদর্শবাদীরা যদি ঘুরে দাঁড়ায় পারা মুস্কিল কেনোনা আদর্শবাদীরা সংখ্যায় অনেক।রাজনীতি আজ কুলসিত এটা সত্য, রাজনীতির নীতি ঠিক না করলে সকল অস্থিরতা ও অব্যবস্থানা বাড়বে বই কমবে না। তাই সকল শ্রেণীপেশার সাদামাটা সাধারণ দেশপ্রেমিক মানুষ ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, যুব, নারী সবার শোভন-সুস্থ্য রাজনৈতিক চিন্তার ঐক্যই দিতে পারে নতুন পথের সন্ধান, যা অতীতে দিয়েছে আগামীতেও দিবে। যেখানে প্রতারিত হবে না দেশ আর দেশের জনগণ। রাজনীতিতে দেশের মানুষের অনিহা দৃশ্যমান, এটা দেশের জন্য ক্ষতিকর আর লুটেরাদের জন্য সুবিধাজনক। তাই গ্রীক দার্শনিক প্লেটোর উক্তি দিয়েই শেষ করতে চাই, প্লেটো এখানে বলছেন”রাজনীতিতে অংশগ্রহনে অনীহার অন্যতম শাস্তি হচ্ছে নিজের তুলনায় নিকৃষ্টদের দ্বারা শাসিত হওয়া”।
লেখক-সাব্বাহ আলী খান কলিন্স। সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ও বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।