সাক্ষাৎকার
বন্ধু হিসেবে শামীম ওসমান তুলনাবিহীন: খোকন সাহা
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: অ্যাডভোকেট খোকন সাহা। বর্তমানে মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। রাজনীতির বাইরেও তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। জেলা আইনজীবী সমিতিতে দুইবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহাতীর্থ লাঙলবন্দ স্নান উৎসবের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা তিনি। নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে রাজনীতির অনেকটা সময় পাড়ি দিয়েছেন। মাঝে দুইবন্ধুর মধ্যে মতপার্থক্য, দুরুত্ব সৃষ্টি করেছে। এক সময়ের তুখোড় এই ছাত্রনেতা রাজনৈতিক দীর্ঘ পরিক্রমা পেরিয়ে ইচ্ছা পোষণ করেছেন জনপ্রতিনিধি হবার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। নির্বাচনের আগে মনোনয়ন প্রাপ্তি ও পরবর্তীতে তাঁর পরিকল্পনাসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রেস নারায়ণগঞ্জ এর সাথে। প্রেস নারায়ণগঞ্জের পাঠকদের জন্য তার সাক্ষাতকারটি তুলে ধরা হলো।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: প্রথমে আপনার রাজনীতির শুরুর গল্পটা সম্পর্কে বলেন?
খোকন সাহা: ৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে আমার মনে একটা প্রশ্ন জেগেছিল, বঙ্গবন্ধুর মতো একজন বিশাল নেতাকে কেন হত্যা করা হলো? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে আমি ছাত্রলীগে যোগদান করি। আমি ৭৭ সাল থেকে ৮০ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ৭৯ সালে সরকারি তোলারাম কলেজের বাণিজ্য শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। এরপর ৮১ সালে শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হই। ১৯৮২ সালের ২৪ শে মার্চ এরশাদ সামরিক শাসন জারি করলো। সেদিন সকাল ১১টায় আমরা ১২ জনের একটি দল এরশাদ বিরোধী মিছিল করেছিলাম। এটিই বাংলাদেশের প্রথম এরশাদ বিরোধী মিছিল। ৮৩ সালে ছাত্রলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হই। ৮৭ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছি। ৯২ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৯৬ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত তিন মেয়াদে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। এরপর গণভবনে বাংলাদেশের সমস্ত নেতৃবৃন্দকে ডেকে এনে প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রমোশন দিয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ দেন। এই হচ্ছে আমার রাজনৈতিক পদ পদবী। এছাড়া আমি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহাতীর্থ লাঙলবন্দ স্নান উৎসবের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা। আমি আইনজীবী সমিতির দুই বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: দীর্ঘ এই রাজনৈতিক জীবনে চাওয়া-পাওয়ার হিসেবটা কি কখনো করেছেন?
খোকন সাহা: আমি আজকে ৪০ বছরের উপরে রাজনীতি করি। রাজনীতিবিদদের সকলেরই জনপ্রতিনিধি হবার ইচ্ছা থাকে। আমিও জনপ্রতিনিধি হতে চাই। এজন্য আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত। আসন্ন নির্বাচনে দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি নির্বাচন করবো।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন কি নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে?
খোকন সাহা: হ্যা, আমি নারায়ণগঞ্জ-৫ এ নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: এর আগে কখনো মনোনয়ন চেয়েছিলেন?
খোকন সাহা: না। এর আগে কখনো মনোনয়ন চাইনি। আমার বয়স ৫৯ বছর। এখন তো আমার পড়ন্ত বেলা। এখন না চাইলে আর কবে চাইবো? এই পড়ন্ত বেলায় আমার আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নাই। একটাই চাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবো, সাংসদ হবো।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: বিগত সময়ে এই আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়ে এসেছে মহাজোট। এই ব্যাপারটিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
খোকন সাহা: এইটা ২০০৮ সাল কিংবা ২০১৪ সাল না, এটা ২০১৮ সাল। এই কথাটা মনে রাখতে হবে। বিগত সময়ে দিয়েছে বলে এবারও দিবে সেটা ঠিক না। নাও দিতে পারে, দলকে মনোনয়ন দিতে পারে। আমরা প্রত্যাশা করি এইটা ২০০৮ সাল না, এবার এই আসনটায় জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকাই দিবে। আমাদের সবারই দাবি ৫ আসনে নৌকা দেয়া হোক। ওই দাবির সাথে আমিও একমত।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: আপনার সাথে বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমানের সাথে কেমন সম্পর্ক?
খোকন সাহা: আমার সাথে সকল সংসদ সদস্যেরই মধুর সম্পর্ক। ব্যক্তিগতভাবে আমার সাথে তাঁর সম্পর্ক খুবই মধুর।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: বর্তমান সংসদ সদস্যের সফলতা-ব্যর্থতাকে আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
খোকন সাহা: উনি বন্দরে নিজ অর্থায়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করছেন। উনি মর্গ্যান স্কুলের উন্নয়ন ও আইনজীবী সমিতি ভবনের জন্য ৩ কোটি করে ৬ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। উনি আমার প্রতিদ্বন্ধী হলেও উনার কাজগুলো আমি স্বীকার করি। আর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সাংসদরা বেশি কাজ করতে পারে না। কারণ কাজ করতে হলে সিটি কর্পোরেশনের ডিউ লেটার লাগে। এই ঝামেলাটা না থাকলে যেকোন সাংসদ অনেক উন্নয়ন করতে পারতো।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: গত ৭ অক্টোবর এমপি সেলিম ওসমানের মেইল থেকে গণমাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। যেখানে উল্লেখ ছিল, আপনি একটি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বলেছেন, ‘সেলিম ওসমানের পক্ষে কাজ করবো এবং তাকে ভোট দিবো’। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?
খোকন সাহা: ওই মিটিংয়ে উপস্থিত অনেক ব্যক্তি এই বক্তব্য অস্বীকার করে। এই ব্যাপারটি একাধিক পত্র-পত্রিকায় লিখেছেও। আমি বলেছি, খুব দুঃখ, বেদনা যাই থাকুক না কেন জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থীকে আপনি ভোট দিবেন। সে যেই হোক। জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন আপনারা তাকেই ভোট দিবেন। সেদিন সেলিম ওসমান বলেছেন, খোকন সাহা আমার প্রতিদ্বন্ধী কিন্তু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য আমি খোকন সাহার কাছে সাহায্য চেয়েছি।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: তাহলে ওই বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?
খোকন সাহা: এই বিবৃতি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আপনারা খেয়াল করবেন, এই বিবৃতিটা কিন্তু ওনার (সেলিম ওসমান) কাছ থেকে আসছে। এইটা নারায়ণগঞ্জের কোন সাংবাদিকদের বিবৃতি না। এই বিবৃতি ওনার (সেলিম ওসমান) এক্সট্রা মিডিয়ার বিবৃতি।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: মনোনয়ন বিষয়ে কেন্দ্র থেকে কোন সিগন্যাল পেয়েছেন কি?
খোকন সাহা: কেন্দ্র থেকে কাউকেই কোন সিগন্যাল দেয়া হয়নি। ধরুন, আজকে আমি বলতে পারি, কেন্দ্র আমাকে সিগন্যাল দিছে। কিন্তু কালকে এইটার প্রতিবাদ আসবে। তাই বইলা লাভ নাই। নারায়ণগঞ্জ কেন সারা বাংলাদেশের কাউকেই কোন সিগন্যাল দেয়া হয় নাই কেন্দ্র থেকে।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: আপনাদের ৫টি আসনে নৌকার দাবি কেন্দ্র কিভাবে দেখছে?
খোকন সাহা: আমরা কেন্দ্রে এই দাবি পৌছে দিয়েছি। এখন বাকি কাজ কেন্দ্র করবে।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: মহাজোট থেকে এবারো যদি জাতীয় পার্টিকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আপনার অবস্থান কেমন হবে?
খোকন সাহা: যদি জাতীয় পার্টিকে নমিনেশন দেয় মহাজোট। আমার তো কোন স্কোপ নাই। আমি একটা পার্টির সেক্রেটারী, নেত্রী যা বলবে আমি তাই করবো। শেখ হাসিনা যদি কালকে আমাকে বলে, খোকন সাহা তুমি রাজনীতি ছেড়ে দাও। তাহলে আমি রাজনীতি আর করবো না। আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমি তা মেনে নিবো।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়েও নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদেরও কিন্তু দীর্ঘ লাইন রয়েছে এই আসনে। সেখানে নিজেকে কিভাবে এগিয়ে রাখছেন?
খোকন সাহা: আমি বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ করতেছি। এই সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রচার চালাচ্ছি। দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছি। তবে একটা কথাই বলবো, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে আছে। আমি প্রার্থী হই, এইটা তাদের প্রত্যাশা।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: মনোনয়ন পেলে আপনার প্রস্তুতি কেমন?
খোকন সাহা: নির্বাচনের জন্য সকল প্রস্তুতি আমার আছে। মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করার জন্য আমি প্রস্তুত।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: সাধারণ জনগণ খোকন সাহাকে কেন ভোট দিবে?
খোকন সাহা: খোকন সাহার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড দেখে মানুষ ভোট দিবে। মানুষের বিপদ-আপদে আমি পাশে দাড়াই। সর্বোপরি কথা, মানুষ আমাকে কাছে পায়। আমি মাটি ও মানুষের সাথে রাজনীতি করি। আমার জীবন চলার পথে কখনো কোন টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে যাইনি। আমি কোন সন্ত্রাস লালন-পালনও করি না।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: এই আসনের উন্নয়নে কোন প্রতিশ্রুতি আছে আপনার?
খোকন সাহা: নেত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় আর আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে মানুষের জন্য কল্যানকর যা আছে আমি সব করবো।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: এই আসনে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তাদের অনেকেই আপনার ঘনিষ্টজন এবং দলীয় লোক। এই মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কোন বিরোধ তৈরি হচ্ছে কি?
খোকন সাহা: এটা কোন প্রভাব পড়বে না। আমরা সবাই বলেছি, দল যাকে নমিনেশন দিবে আমরা সবাই তাঁর পক্ষে কাজ করবো। নেত্রীর বাইরে আমরা কেউ না।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে যাই। আপনার বন্ধু এমপি শামীম ওসমান। তাঁর সাথে আপনার এখন সম্পর্ক কেমন?
খোকন সাহা: আমার ছোটবেলার বন্ধু। তাঁর সাথে আমার বন্ধুত্ব সেই ৭২ সাল থেকে। তাঁর সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আমার মধুর। আপনারা দেখবেন, গত এক বছর যাবত তাঁর কিছু সিদ্ধান্তে আমি দ্বিমত পোষণ করেছি, সে আমার কিছু সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেছে। কিন্তু সে কখনো আমার বিরুদ্ধে কোন কথা যেমন বলে নাই আমিও তাঁর বিরুদ্ধে বলি নাই।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: বিগত সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মসূচিতে আপনাদের একত্রে দেখা গেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আপনাদের মধ্যে কেমন একটা দূরত্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
খোকন সাহা: বন্ধু হিসেবে শামীম ওসমান তুলনাবিহীন। দলীয়ভাবে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর সাথে আমার দ্বিমত হয়। দ্বিমত তো আমাদের নেত্রীর সাথেও হয়। নেত্রীর কিছু সিদ্ধান্ত আমরা মানতে পারি না। আমার বন্ধুর কিছু সিদ্ধান্ত আমার পছন্দ হয় নাই আমি দ্বিমত করেছি। আবার সে আমার কিছু সিদ্ধান্তে দ্বিমত করেছে। এর মানে এই না যে আমাদের মধ্যে মারামারি হচ্ছে, আমাদের সম্পর্ক খারাপ। আমরা শামীম ওসমানকে চেয়েছি মাঠে। আমরা চাই, শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নমিনেশন পাক। আপনারা দেখবেন, বিভিন্ন কর্মসূচিতে শামীম ওসমান থানার নেতাদের নিয়ে যাচ্ছেন, আমাদের জেলা কিংবা মহানগরের কোন নেতা নিয়ে যাচ্ছেন না। এটা আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। উনি যা ভালো মনে করবেন, তাই করবেন। এটাকে দূরত্ব বলা যায় না।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: থানা কমিটির নেতাদের কাছে টেনে জেলা ও মহানগরের নেতাদের কি তিনি দূরে ঠেলে দিচ্ছেন? ব্যাপারটি কি এরকম?
খোকন সাহা: না, ব্যাপারটি তেমন না। উনি তৃণমূল পর্যায়ে হাটতেছেন। প্রতি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি তিনি যাচ্ছেন। আমরা তো তাঁর এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছি না। আমাদের সমর্থন আছে তাঁর সিদ্ধান্তে। আমার সাথে তাঁর বৈঠক হয়েছে। আইনমন্ত্রী যখন এসেছিলেন তখন এ বিষয়ে আমাদের দীর্ঘ বৈঠক হয়েছিল নম পার্কে।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: এবার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।
খোকন সাহা: ব্যক্তিগত জীবনে আমি বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। আমার স্ত্রী একজন স্কুল শিক্ষিকা।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খোকন সাহা: আপনাকেও ধন্যবাদ।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম