০৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আপডেট: ২১:৪১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

শামীম ভাইয়ের নির্দেশে আমি সেটাই করেছিলাম: সাজনু

শামীম ভাইয়ের নির্দেশে আমি সেটাই করেছিলাম: সাজনু

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুঁইয়া সাজনু। এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ছিলেন। বর্তমানে ১৩ বছর ধরে যুবলীগের রাজনীতিতে আছেন। সমসাময়িক রাজনীতি, ব্যক্তিগত জীবন, র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার, কারাবন্দি, নেতার আদর্শ, রাজনীতে প্রবেশের গল্পসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রেস নারায়ণগঞ্জ এর সাথে। তার সাক্ষাতকারটি প্রেস নারায়ণগঞ্জের পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: শুরুতে আপনার রাজনীতিতে জড়ানোর গল্পটা শুনি?

সাজনু: আমার বাবা মূলত ছিলেন হোমনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। আমার বড় ভাই গোলাম সারোয়ার নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ইলেকশনের মাধ্যমে। পরবর্তীতে আমার মনে হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম দেশের বাহিরে থেকে নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হোন। তিনি তখন কোলকাতায় ছিলেন। আমার মেঝ ভাই সরকারী তোলারাম কলেজের সাবেক জিএস ছিলেন। জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিল। সেও ইলেকশনের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হোন। আর বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নারায়ণগঞ্জ শহর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি। বাবা, বড় ভাই তাদেরকে দেখেছি এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতে। সেইসময় আমি খন্দকার স্যারের কাছে পড়তাম। নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের বাংলা টিচার ছিলেন তিনি। এসএসসি পাশ করার পর যখন তোলারাম কলেজে যেদিন ভর্তির ফরম আনতে গেলাম ওইদিন মিশন পাড়ার ডেভিড ভাই, রুবেল ভাই তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগের উপর হামলা করছিল। সেদিন শামীম ভাই প্রতিহত করেছিল। আমি রুবেল ভাইকে উদ্দেশ্য করে একটি ব্যাটারী (ডিল) ছুড়ে মেরেছিলাম। তো ব্যাটারীটা লাগছিল গিয়ে শামীম ভাইয়ের হাতে। শামীম ভাই ওই সময়টায় ছাত্রদের দাবী-দাওয়া আদায়ের জন্য যা করেছিল সেটা দেখেই আমি অনুপ্রাণিত হই। এবং পরবর্তীতে পরিবারের ধারাবাহিকতায় ৮৫-৮৬র দিকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হই।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: রাজনীতিতে জড়ানোর পিছনে কার অনুপ্রেরণাটা বেশি ছিল?

সাজনু: এইটা যদি বলতে হয় তাহলে বলবো শামীম ভাই (এ কে এম শামীম ওসমান)।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: রাজনীতিতে আসার পিছনে পরিবারের কোন বাঁধা ছিল?

সাজনু: হ্যা প্রথম প্রথম বাঁধা ছিল। বাবা বাঁধা দিতেন। বলতেন লেখাপড়ায় মন দিতে। আমি ছাত্র হিসেবে ভালই ছিলাম। আমার বন্ধু সার্কেলের মধ্যে একমাত্র আমিই রাজনীতিতে এসেছি। সবাই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ঢাকা মেডিকেলে, কেউ বুয়েটে পড়াশুনা করেছে। পড়াশুনা করে ওরা এখন যার যার মতো করে ভাল আছে। আমরা সবাই রাতে মনির ভাইয়ের চায়ের দোকানে আড্ডা দিতাম। সব নন পলিটিকাল ফ্রেন্ড। একমাত্র আমি বাদে। এরপর ডিগ্রী পাস করে মাস্টার্সে জগন্নাথে ভর্তি হই। কিন্তু কমপ্লিট করা হয় নি।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: ছাত্রলীগের আপনার সর্বশেষ পদ কি ছিল?

সাজনু: শহর ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: ছাত্রলীগ থেকে যুবলীগে আছেন। কোন জায়গাটা ভাল ছিল?

সাজনু: ছাত্রলীগ। আসলে ছাত্রলীগের মজাই আলাদা। যারা এখন ছাত্রলীগ করে ওদের মাঝে মাঝেই বলি, তোরা যখন ছাত্রলীগ ছাড়বি তখন রাজনীতির মজাটা বেশি মিস করবি।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: এখন কি শহর যুবলীগ নাকি মহানগর?

সাজনু: অবশ্যই শহর যুবলীগ। যদিও সেন্ট্রাল থেকে বলতেছে তোমরা মহানগর যুবলীগ হয়ে গেছো কিন্তু আমি মহানগর যুবলীগ লেখি না। যেহেতু আমি ইলেকশন করছিলাম শহর যুবলীগের হয়ে। ২০০৫ সালের ২৫ জুলাই। আজকে ১৩ বছর। তো এই নিয়ে আমাদের সেন্ট্রাল যুবলীগের চেয়ারম্যান ২০১৫ সালে জিজ্ঞেস করেছিল, সংগঠনের কি খবর? আমি বলছিলাম, সংগঠনের ‘স’ও নাই। তিনি খুব রাগী মানুষ। তিনি ক্ষেপে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, নাই মানে? তখন আমি বলছিলাম, ২০০৫ সালে যখন আমি কমিটি পাই, ২ মাসের মধ্যে আমি পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেই। যারা রাজপথে সোচ্চার ছিল। বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তাদেরই আমি কমিটিতে রেখেছি। আজকে ১০টা বছর একটা যুব সংগঠন চলছে। নতুন করে কমিটি না করলে কি হয় সেটা তো জানেনই। নতুন কমিটি দেন। আমাকে না দেন কিন্তু কমিটি দেন। আরেকটা মজার ব্যাপার কি, বাদল ভাই, হেলাল ভাই, কিংবা আমি, শামীম ভাইয়ের মাধ্যমে এই তিনজনই কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটিতে এসেছি।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: শহর যুবলীগের ওয়ার্ড কমিটিগুলো কি আছে?

সাজনু: হ্যা ৯টা কমিটি আছে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, বেশিরভাগ নিষ্ক্রিয়। আসলে ১৩ বছরের দীর্ঘ কমিটিতে এটাই বড় প্রভাব। তারপরেও বলবো আজকে ১৩ বছরের কমিটির কর্মীদের ডাকলে যে পরিমান কর্মী আসে আমার দেখলে অবাক লাগে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নতুন করে কমিটি করার কোন ইচ্ছে আছে?

সাজনু: ইচ্ছে আছে। চেষ্টা করতেছি। শামীম ভাইয়ের সাথে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। আমাকে শামীম ভাই জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকটা দিতে চাইছিল। তখন আমি বললাম, ভাই আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদকটা দিয়ে দিবেন ঠিক আছে। কিন্তু আমার যুবলীগের কমিটিতে যারা ছিল ওদের আমি কি করবো। এর চেয়ে ভাল মহানগর যুবলীগটা আরেকবার করি।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: দীর্ঘদিন ধরে শহর যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে এক ধরনের বিভাজন লক্ষনীয়। এবং দলীয় কর্মসূচিও আপনারা পৃথক পৃথক ভাবে পালন করছেন। এটা কেন?

সাজনু: নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী রাজনীতিতে ২টা ভাগ আছে। রাজনীতি বলবো না গ্রুপিং আর কি! কিন্তু সামনে দেখা যাবে সবাই এক হয়েই নৌকার জন্য কাজ করছে। ওর মতো ও করে। আমার মতো আমি দলীয় কর্মসূচি করি। বঙ্গবন্ধুর জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দেখা যাবে আবার সবাই এক হয়ে গেছে। এখানে হয়তো দলীয় রাজনীতির কারণে একটা গ্রুপিং আছে। তবে এটা ঠিক হয়ে যাবে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: মোটকথা যুবলীগ ২ভাগে বিভক্ত। এই বিভক্তি কি দলের উপর প্রভাব ফেলছে?

সাজনু: কিছুটা প্রভাব পড়ে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: এই বিভক্তি কি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

সাজনু: নৌকার জন্য ওই যে বললাম, সবাই এক হয়ে কাজ করবে। নেত্রীকে আবার প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য সবাই এক হয়েই কাজ করবে। সেক্ষেত্রে কোন গ্রুপিং থাকবে না, কোন দলাদলি থাকবে না।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: আগামীদিনে মহানগর যুবলীগ নিয়ে কোন পরিকল্পনা আছে কি না?

সাজনু: হ্যা আছে। যুবলীগ কে সুন্দর ভাবে সাজানোর জন্য যা করা দরকার করবো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া আওয়ামী যুবলীগ।নারায়ণগঞ্জের মহানগর যুবলীগকে সারা বাংলাদেশের আদর্শ মডেল হিসেবে দেখাতে চাই। কেন্দ্রের চেয়ারম্যান যেন সারা বাংলাদেশকে বলতে পারে নারায়ণগঞ্জের মহানগর যুবলীগকে দেখে শিখো। ওইভাবেই যুবলীগকে সাজাতে চাই। এবং আরেকটা জিনিস বলি, আমি সভাপতি থাকা অবস্থায় আমার যুবলীগের কোন কর্মীর কোন বদনাম নাই। দেশের সব জায়গায় কমবেশি বদনাম কর্মীদের থাকেই। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মহানগর যুবলীগের কোন বদনাম নেই।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: জনপ্রতিনিধি হতে ইচ্ছে করে না?

সাজনু: ইচ্ছে আছে বলেই তো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করছিলাম।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: আগামীতে কোন মাধ্যমে করার ইচ্ছে?

সাজনু: আল্লাহ যদি চায়, সর্বোপরি শামীম ভাই যেখানে চাইবেন সেখানেই নির্বাচন করার ইচ্ছা।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: শুরু থেকে এই পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের সাথেই আছেন। খুব কাছ থেকে তার রাজনীতি দেখেছেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের শামীম ওসমান ও ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের শামীম ওসমানের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে?

সাজনু: অনেক পার্থক্য আছে। উনি যখন প্রথম সংসদ সদস্য হোন তখন উনার বয়স ৩১ কিংবা ৩২। তখন তিনি রাজপথে তুখোড় ছাত্রনেতা। তিনি যখন তোলারাম কলেজের ছাত্র ছিলেন তখন জিয়াউর রহমানের গাড়ির ফ্লাগ স্ট্যান্ড নামিয়ে ফেলছিলেন। তোলারাম কলেজকে সরকারী কলেজ করণের দাবীতে। ১৯৯৬ নির্বাচনে বিএনপিকে আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে শামীম ওসমান ভাই সংসদ সদস্য হোন। আজকে আমার যে চিন্তাধারা আগামী ৫ বছর পর কিন্তু আমার এই চিন্তাধারা থাকবে না। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু উনার আদর্শ আর নীতিতে উনি ঠিক আছেন। উনি যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সাচ্চা সৈনিক এতে কোন সন্দেহ নেই। উনার বাবার বাড়িতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা। উনার বাবা সামসুজ্জোহা সাহেব মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সাথে। উনিও একজন এমপি ছিলেন। বড় ভাই নাসিম ওসমান সাহেব ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর (নারায়ণগঞ্জে ২জনের মধ্যে তিনি একজন) যিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। আরেকজন ছিলেন মঞ্জু ভাই। তখন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করা বিশাল ব্যাপার। অনেক আওয়ামীলীগের বড় বড় নেতারা বেঈমানি করছে। অনেকে চুপ ছিল। তো মনে করেন কি রকম পরিবারের সন্তান হলে, বঙ্গবন্ধুর কি রকম সাচ্চা সৈনিক হলে তখন বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করে! এবং সেদিন ১৫ই আগষ্ট তাঁর (নাসিম ওসমান) বিয়ে ছিল। নববধূকে রেখে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবীতে নেমে ছিলেন। কাদের সিদ্দীকির সাথে বর্ডারে গিয়ে গোলাগুলি করেছিলেন। এর ফলে তাঁর মেঝ ভাই সেলিম ওসমান সাহেবকে ধরে নিয়ে গিয়ে ক্যাপ্টেন কিসমত তার বুকে সিগারেট দিয়ে ছ্যকা দিয়েছিল। এই পরিবারের সদস্য শামীম ওসমান। ৯৬এ অত্যন্ত টগবগে একজন নেতা। প্রচুর কাজ করেছেন তখন। ২৬০০ কোটি টাকার কাজ করেছেন তখন। উনার একটা ভাল দিক বলি, উনি মানুষকে খুব বিশ্বাস করেন। খুব বিশ্বাস করেন। এই ব্যাপারটা আমার ভিতরও আছে। আমি কখনো মানুষকে বিশ্বাস করে ঠকিনি। আমি মনে করি তিনিও ঠকেননি। আর এই জন্যই তিনি এখন এই পর্যায়। ২০১৪তে এমপি হওয়ার পর প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার কাজ করেছেন তিনি। তিনি এখন একজন পরিনত মানুষ। তিনি ডিএনডি প্রকল্পের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূর করেছেন। তার আদর্শ, নীতি, চিন্তাধারা এগুলোর কোন পার্থক্য নেই।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: আচ্ছা আগামী নির্বাচনে যদি শামীম ওসমান নমিনেশন পেয়েই যান, তাকে কোন বিষয় ও কাজের জন্য জনগন ভোট দিবে বলে মনে করেন?

সাজনু: মানুষ তাকে ভোট দিবে তার উন্নয়নের জন্য। বঙ্গবন্ধুর সাচ্চা প্রেমিক হিসেবে। তার বাবার বাড়িতে আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছিল (বাইতুল আমান)। তাঁর চিন্তাধারা এবং জনগনের জন্য কাজ করেন বলেই তাকে আবার ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন ইনশাআল্লাহ। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: অন্য একটি প্রশ্নে আসি, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এর সাজনু আর ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের সাজনুর তফাৎটা কি?

সাজনু: পার্থক্য তো আছেই। ৯৬এর দিকে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করতাম। তারপর বর্তমানে যুবলীগের পাশাপাশি জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য। তখনও মানুষের জন্য কাজ করছি। কিন্তু ওইভাবে না। বর্তমানে মানুষের জন্য কাজ করি। বিশেষ করে শামীম ভাইয়ের উন্নয়নের কাজগুলো শামীম ভাই যেভাবে বলেন সেভাবে তৈরি করি।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: আপনার বিরুদ্ধে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের একটা প্রচার আছে। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?

সাজনু: ২০১৫ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে টেন্ডারে অনলাইন সিস্টেম চালু করেছেন। টেন্ডার যেহেতু অনলাইন সিস্টেমে চলে গেছে সেখানে টেন্ডার নিয়ন্ত্রনের কোন প্রশ্নই আসে না। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা এই জন্যই টেন্ডার সিস্টেম অনলাইনে করেছেন যাতে সবাই কাজ করার সুযোগ পায়।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলেন?

সাজনু: আব্বা আম্মা দুজনেই মৃত। চার ভাই তিন বোন। বড় ভাই গোলাম সারোয়ার মারা গেছেন। আসলে আবেগে অনেক কথাই এসে পড়ে। আমার বড় ভাই একটা কথা বলেছিলেন, রাজনীতিতে অর্থ নয় আদমী (মানুষ) কামাও। তো তার মৃত্যুর পর আমি অনুভব করেছি আমার ভাই আদমি কামিয়ে গিয়েছিল। আদমী মানে হলো মানুষের মন কামানো। তার জানাজায় আমি দেখেছি চাষাড়ার মোড়ে হাজারো মানুষের ঢল। কত মানুষ নীরবে চোখের পানি ঝুরিয়েছে তার হিসেব নেই। আমার মেঝ ভাই মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আমার ছোট ভাই আজাদ। হয়তো অনেকেই চিনে না। ও রাজনীতিতে নাই। বর্তমানে ও একটা ইন্সুরেন্স কোম্পানির জিএম। আমার স্ত্রী হাউজ ওয়াইফ। মাস্টার্স করেছে ইডেন মহিলা কলেজ থেকে। আমার এক ছেলে। ডাকনাম রাফী। এ লেভেল কমপ্লিট করে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে।

আগামীকাল (২৭ সেপ্টেম্বর) পড়ুন র‍্যাবের হাতে অস্ত্র 

ও ফেনসিডিলসহ সাজনুর গ্রেপ্তার হওয়ার কাহিনী

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়