০৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৭:৩০, ২৪ জুন ২০২৩

সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে জনগণ ভুল করে না: আইভী

সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে জনগণ ভুল করে না: আইভী

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে অংশ নিচ্ছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। গত দুইবারের নির্বাচিত সিটি মেয়রও তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৬ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী পরিবেশ, প্রতিশ্রুতি, প্রত্যাশাসহ নানা বিষয়ে প্রেস নারায়ণগঞ্জের সাথে কথা বলেছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রেস নারায়ণগঞ্জ এর চীফ রিপোর্টার ও জাতীয় দৈনিক সংবাদের জেলা প্রতিনিধি সৌরভ হোসেন সিয়াম।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: গত ১৮ বছর নগরকর্তার চেয়ারে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। দীর্ঘ সময় জনপ্রিয়তা ধরে রাখার কৌশল কী?

সেলিনা হায়াৎ আইভী: আমি তো ঠিক ওভাবে বলতে পারবো না। তবে আমি কোনো কৌশল অবলম্বন করিনি। আমি মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছি। নিঃস্বার্থভাবে মানুষকে ভালোবেসেছি। কোনোকিছুকে প্রাধান্য না দিয়ে মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে সকলের জন্য কাজ করেছি। মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে মানুষ যেভাবে চেয়েছে, চেষ্টা করেছি সেভাবে কাজ করার জন্য। হয়তো জনগণকে যেভাবে ভালোবেসেছি সেইভাবেই জনগণ ফেরত দিচ্ছেন।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: গত তিনটি নির্বাচনে আপনি অংশ নিয়েছেন। তিনটিতেই বিজয়ী হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে আলাদা কোনো ব্যাপার লক্ষ করেছেন?

সেলিনা হায়াৎ আইভী: আলাদাভাবে এখন পর্যন্ত কিছু নজরে আসেনি। সবগুলো নির্বাচনকেই গুরুত্বের সাথে নিয়েছিলাম। এই নির্বাচনকেও অত্যন্ত গুরুত্বের সাথেই নিয়েছি। মাত্র তো শুরু, অবস্থান বুঝে কাজ করার চেষ্টা করছি।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবির খবর গণমাধ্যমে পাওয়া গেছে। বিরোধী দল নৌকার বিপরীতে তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীর উদাহরণ সহজেই সামনে আনছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার অবস্থান কেমন?

সেলিনা হায়াৎ আইভী: প্রত্যেকটা জেলার মধ্যেই কম-বেশি সমস্যা থাকে। নৌকার ভরাডুবির মানে এই নয় যে, নৌকার জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছে। এখানে অনেকগুলো ব্যাপার থাকে। দলীয় কোন্দল থাকতে পারে, কোথাও আওয়ামী লীগের মধ্যেই অনেক প্রার্থী ছিল। খেয়াল করলে দেখা যাবে, যারা নৌকা প্রতীক ছাড়া জিতেছে তারা কিন্তু আওয়ামী লীগেরই সদস্য কিংবা সমর্থক। কোনো কারণে হয়তো তারা নৌকা প্রতীক পায়নি। তবে দলেরই কিন্তু জয় হয়েছে। আর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার কারণেই কিন্তু তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী জিততে পেরেছেন। সেখানের নৌকার প্রার্থী হয়তো সেভাবে যোগ্য ছিলেন না। আমি যদিও সঠিকভাবে সেখানের প্রেক্ষাপট বলতে পারবো না। আপনার প্রশ্নের আলোকে এইভাবে বলছি। দল চাইলে কিংবা প্রশাসন চাইলে অন্যভাবে সম্ভব ছিল। সেভাবে হয়নি। এটাকে ইতিবাচকভাবেও দেখা যায়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে বলেই তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

সারা বাংলাদেশের সাথে নারায়ণগঞ্জকে আমি একটু আলাদাভাবেই চিন্তা করতে চাই। বরাবরের মতো এইবারও সুষ্ঠু, স্বাভাবিক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। ২০১৬ সালেও তাই হয়েছে। ২০০৩ সালের পৌর নির্বাচনও নিরপেক্ষ হয়েছে। ২০১১ সালে অনেক জল্পনা-কল্পনা ছিল কিন্তু সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন করেছে। নিরপেক্ষ না হলে এইখানে বসে কথা বলতে পারতাম না। একইভাবে ২০১৬ সালেও নির্বাচন হয়েছে। আমার মনে হয়, ২০২২ সালেও এর ব্যতিক্রম হবে না। সুতরাং অন্য কিছুর আশঙ্কা আমি করছি না। জনগণ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই সঠিক হবে। আইভীকে ভোট দিবে এবং নৌকাতে ভোট দিবে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: গণমাধ্যমে দেখেছি আপনি অভিযোগ করেছেন, বন্দরের একটি ইউপি নির্বাচনে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কৌশলে হারানো হয়েছে। কৌশলের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও রয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনটা কী সিটি নির্বাচনে হওয়ার সম্ভবনা আছে?

সেলিনা হায়াৎ আইভী: কম-বেশি এইরকম হয়। কিন্তু ইউপি নির্বাচনগুলোতে যেভাবে হয়েছে সেটা পুনরাবৃত্তি চাই না। সিটি নির্বাচনে এমনটা করা সহজও না। কিন্তু ইউপি নির্বাচনে কিছুটা হয়েছে। যেটা হয়েছে সেটাই আমি বলেছি। তবে সিটি নির্বাচনে দলের সকল নেতা-কর্মীরাই নৌকার পক্ষে কাজ করবে। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তাছাড়া দলও তো এইগুলো নজরে রাখছে। দলের বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে দলও সেইভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: দলের সকলের সহযোগিতা আশা করছেন বললেন কিন্তু পাচ্ছেন কী? মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা তো আপনার পাশে নেই।

সেলিনা হায়াৎ আইভী: সবে তো নির্বাচন শুরু হলো। একটু অপেক্ষা করুন। ষোলোর নির্বাচনেও তো সবাই কাজ করেছে। প্রার্থীর সাথে বসে থাকাই কিন্তু কাজ না। আমার সামনে না এসেও কাজ করতে পারে। আমি ২০১৬ সালের নির্বাচনে কিন্তু তেমনটা দেখেছি। আমার সাথে অনেকের যোগাযোগ ছিল না, সারাদিনে সবাইকে দেখিও নাই, কেন্দ্র থেকেও অনেকে এসে কাজ করেছেন, কাজ করে চলে গেছেন। এখনও আমার বিশ্বাস নৌকার বাইরে কেউ যাবেন না।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে দলের উচ্চ পর্যায়েরও নির্দেশনার কথা শুনেছি।

সেলিনা হায়াৎ আইভী: ইতোমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগ নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য কমিটি করেছে। জেলা আওয়ামী লীগও কমিটি করবে। সকলেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। প্রতীক বরাদ্দের পরই সবাই নেমে যাবে। এখনও অনেকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: পূর্বে যদিও এই কথা বলেছেন। তারপরও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো সন্দেহ আছে?

সেলিনা হায়াৎ আইভী: আমার মনে হয় নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সবসময় সুষ্ঠু হয়েছে। এবারও হবে। এর ব্যতিক্রম কোনো অবস্থাতেই হবে না।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নির্বাচনে বিশেষ কোনো বাহিনী মোতায়েনের দাবি আছে?

সেলিনা হায়াৎ আইভী: গত তিনটি নির্বাচনে যারা কাজ করেছেন তারা তো চমৎকার কাজ করেছেন। গত নির্বাচনে একসাথে অনেকগুলো প্রশাসন কাজ করেছে। আগামীতেও সেইভাবে কাজ করলে বিশেষ কোনো বাহিনীর প্রয়োজন আছে বলে এই মুহুর্তে মনে করছি না।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: সম্প্রতি আপনার দেওয়া একটি বক্তব্যের খন্ডিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। আপনি বলছেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে খন্ডিত অংশ প্রচার করে আপনাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

সেলিনা হায়াৎ আইভী: একেবারেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা জয় বাংলাকে সহ্য করতে পারে না তারাই এই অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর আমার প্রতিপক্ষরা তো আছেই। আমার যেকোনো কথাই তারা ‘কাটপিস’ করতে পছন্দ করে। অনেক অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দিয়েছে। আমার বাবাকে রাজাকার বানানোর চেষ্টা করেছে। বিভিন্নভাবে আমাকে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়েছে। এটি তারই একটি অংশ। এই ব্যাপারে আর আমি কথা বলতে চাই না। যত খুশি তারা অপপ্রচার চালাক। আমি মানুষের কাছে যাবো, তাদের সাথে মিশেই কাজ করবো। আমি কারও অপপ্রচারে কান দেবো না, নারায়ণগঞ্জের জনগণও অপপ্রচারে কান দিবে না। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কারণ তারা আইভীকে চেনে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: আইভীকে ঘিরেই এত ষড়যন্ত্র কেন?

সেলিনা হায়াৎ আইভী: দীর্ঘদিন এই শহরের মানুষ কথা বলতে পারে নাই, প্রতিবাদ করতে পারে নাই। অজ¯্র অত্যাচার হয়েছে। এক কথায় শহর বাকরুদ্ধ ছিল। আইভী কথা বলছে, সাধারণ মানুষ কথা বলছে, প্রতিবাদ করছে। সেই প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার জন্যই হয়তো চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই কারণেই আমার বিরুদ্ধে এত অপপ্রচার। নাহলে আমি তো কাউকে বিরক্ত করি না। আমি আমার মতো কাজ করি। আমি তো কারও পদ-পদবী নিয়েও প্রতিযোগিতায় নামিনি, এই শহরের টাকার উৎসেও হাত দেইনি। তাহলে আমাকে সহ্য করতে না পারার কারণ কী? নিশ্চয়ই আমি অনেক কিছুতে প্রতিবাদ করি যেটা কারও সহ্য হচ্ছে না।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: এই ষড়যন্ত্রের পেছনে লাভবান কারা?

সেলিনা হায়াৎ আইভী: একটা গোষ্ঠী তো লাভবান হচ্ছে। হয়তো জনগণ লাভবান হচ্ছে না। কিন্তু একটা গোষ্ঠী তো লাভবান হচ্ছেই।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: এত এত অভিযোগ নিয়ে মাঠে যারা সরগরম ছিল, তারা কী সফল নাকি ব্যর্থ?

সেলিনা হায়াৎ আইভী: সফল নাকি ব্যর্থ, এইটা এইভাবে বলতে চাচ্ছি না। নির্বাচনী মাঠে কৌশল থাকতে পারে, মনোনয়ন চাইতেই পারে। যে মনোনয়ন চাইবে সে তারমতো কৌশল অবলম্বন করবে। এইটা সহজ ব্যাপার, বাঁকা চোখে দেখার কিছু নেই।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: ভোটের মাঠে এই ধরনের প্রচারণার প্রভাব পড়বে না?

সেলিনা হায়াৎ আইভী: এত বেশি প্রভাব পড়ার কথা না। নারায়ণগঞ্জবাসী দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আমাকে দেখছে। ২০১১ সালে তো অসম্ভব অপপ্রচার ছিল। মানুষ তো সেই অপপ্রচারে কান দেয় নাই। আসলে অপপ্রচার তো অপপ্রচারই। আমরা যারা রাজনীতি করি তারা অনেক সময় ভাবি, এই শহরের রিকশাওয়ালা, চায়ের দোকানি অনেক কিছু বোঝে না। কিন্তু তাদের সাথে কথা বলে দেখবেন, তারা আপনার, আমার চেয়ে বেশি খবর রাখে। তারা কিন্তু ভুল করে না। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত তারা নেয়।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: এখন পর্যন্ত মেয়র পদে প্রার্থী ৮ জন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের কীভাবে গ্রহণ করছেন?

সেলিনা হায়াৎ আইভী: সবাইকেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছি। সবাইকেই আমি স্বাগত জানিয়েছি। ১৬ জানুয়ারি ভোট হবে। সকল প্রার্থী মিলেমিশে ভোটে অংশগ্রহণ করবো। নির্বাচনের কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে চাই না। আমার সকল নেতা-কর্মীকে এটা কড়াভাবে বলে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের কাছে সকল প্রার্থী সমান সুযোগ চাইবো। প্রত্যেক প্রতিদ্ব›দ্বীকে শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বী মনে করেই মাঠে নেমেছি এবং কাজ করছি।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নগরবাসী আবারও আইভীকে নির্বাচিত করবে কেন?

সেলিনা হায়াৎ আইভী: কারণ আইভী নগরবাসীর জন্য সবকিছু করেছে। আইভী তার জীবনই উৎসর্গ করেছে নগরবাসীর জন্য। এই শহরের আনাচে-কানাচে, অলি-গলিতে যেখানেই যাবেন সেখানেই দেখবেন, সাধারণ মানুষের চাহিদা মোতাবেক আইভী কাজ করেছে। আইভী কারও সাথে অন্যায় করে নাই, অত্যাচার করে নাই, কারও সাথে জুলুম করে নাই, কাউকে অসম্মান করে কথা বলে নাই। যখন যেটা সঠিক সেটাই বলেছে। নির্যাতিত মানুষের পাশে এসে আইভী দাঁড়িয়েছে। সুতরাং নগরবাসী আইভীর পাশেই থাকবে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নির্বাচিত হতে পারলে আগামী ৫ বছরের জন্য কী ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে আপনার?

সেলিনা হায়াৎ আইভী: আমার মূল কাজ থাকবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা। যে কাজগুলো করছিলাম সেগুলো অব্যাহত রাখবো। খান, পুকুর খনন, সবুজায়ন করে পরিবেশ রক্ষায় বেশি জোর দেবো। শেখ রাসেল পার্কে প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে, দীঘিটা খনন করা হয়েছে। বাবুরাইল খাল, সিদ্ধিরগঞ্জ লেক, নদীর ওপাড়ের ত্রিবেনী খাল, মাহমুদনগর খাল উদ্ধার করে সংরক্ষণ করছি। পুকুর, খাল ও খেলার মাঠকে প্রাধান্য দিয়ে কাজগুলো করতে চাচ্ছি। পাশাপাশি যানজট যদিও আমাদের অর্থ্যাৎ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না তারপরও ট্রাফিক বিভাগকে সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। আমরা গণপরিবহনের ব্যবস্থা করতে চাচ্ছি। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জে মাস্টার প্ল্যান করা হচ্ছে। কী ধরনের গণপরিবহন চললে এই শহরের যানজট নিরসন হবে সেই কাজ চলমান। যানজট নিরসনের ব্যবস্থা করতে চাচ্ছি। এ নিয়ে পরিকল্পনা আমাদের থাকবে। শহরের ভেতর থেকে বাসস্ট্যান্ড সরানো যায় কিনা, সেই ব্যবস্থা করবো। পঞ্চবটিতে ট্রাক টার্মিনাল করে দেওয়া হলেও দূর হওয়ার কারণে নিতাইগঞ্জের ট্রাক সেখানে যেতে চায় না। কাছাকাছি একটি জায়গা অধিগ্রহণ করার প্রস্তাবও মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।

নারায়ণগঞ্জ একটি মেট্রোপলিটন সিটি হওয়ার দরকার। মেট্রোপলিটন সিটি যাতে হয় সেজন্য আমি কাজ করবো। শিক্ষাখাত নিয়েও কাজ করছিলাম। কয়েকটা স্কুলের কাজ শুরু করেছি, সেগুলো শেষ করতে হবে। স্বাস্থ্য বিষয় নিয়েও কিছু কাজ করেছি, সেগুলোকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে হবে। আমাদের কয়েকটি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। আরও কিছু কাজ করতে হবে। আল্লাহ আমাকে সফলতা দিলে এগুলো আমি শেষ করার চেষ্টা করবো। নতুন প্রজন্মের চাহিদা মোতাবেক, তারা কী চায় সেদিকে দৃষ্টি দিয়ে কাজ করবো।

তবে আমার মূল কাজ হবে শীতলক্ষ্যা নিয়ে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জের প্রাণ শীতলক্ষ্যা। শীতলক্ষ্যাকে নিয়ে প্রচুর কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। দুই পাড় নিয়ে কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করেছি, সেগুলো ধারাবাহিক রাখবো। প্রধানমন্ত্রী শিশুবান্ধব নগরী গড়ার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। এইগুলোর দিকে মূল লক্ষ্য থাকবে। এছাড়া দৈনন্দিন রুটিন কাজ তো থাকবেই।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

সেলিনা হায়াৎ আইভী: আপনাকেও ধন্যবাদ

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়