২২ নভেম্বর ২০২৪

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ৪ জুন ২০১৯

আপডেট: ১৪:০৮, ২৭ জুন ২০১৯

আট আনা, এক টাকা করে সালামি পেতাম: শরীফ উদ্দিন সবুজ

আট আনা, এক টাকা করে সালামি পেতাম: শরীফ উদ্দিন সবুজ

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: মুসলিম ধর্মালম্বীদের প্রাণের উৎসব ঈদ। ঈদের এই উৎসবটি শুধু ধর্মীয় উৎসব বললেই শেষ করা যায় না। আনন্দঘন এই দিনটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে কতটা মধুর স্মৃতি। ছোটবেলার এমনই কিছু স্মৃতি প্রেস নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে ভাগ করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ।

শরীফ উদ্দিন সবুজ বলেন, ‘ছোটবেলার ঈদ স্মৃতিগুলো অনেক মনে পড়ে। মনে পড়ে ঈদগাহে নামাজ পড়া, সালামি নেয়া, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া সব।’

ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘ঈদের নামাজ শেষেই বেরিয়ে পড়তাম সালামির জন্য। সালাম করা তো বিষয় ছিল না কিন্তু সালামি নেয়াটা ছিল মূল। বন্ধু, ভাই-বোনদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলতো কে সবচেয়ে বেশি সালামি পাবে। তখন ৫০ পয়সা, ১ টাকা করে সালামি পেতাম। দিন শেষে সব হিসেব করলে দেখা যেত ৫০ টাকার মতো সালামি পেয়েছি কিন্তু হাতে টাকা নেই। আমি টাকা খরচ করত চাইতাম না, টাকা জমা করতে পছন্দ করতাম। কিন্তু আমার বোনরা খুব চালাক ছিল। তারা আমাকে পটিয়ে, বুঝিয়ে-সুজিয়ে চটপটি খেত, ফুচকা খেয়ে নিত। তার উপর তখন প্রতিটি এলাকায় এলাকায় গেট করার একটি বিষয় ছিল। এলাকার ছেলেরা গেট করতো আর সেই গেট দিয়ে গেলেই টাকা দিতে হতো। সেখানেও আমার টাকা চলে যেত। দিন শেষে আমারা জেঠা যখন প্রশ্ন করতো, কিরে তোর সালামির টাকা কোথায়? তখন আমি বলতাম টাকা তো শেষ, আপুরা চটপটি, ফুচকা খেয়েছে। তখন আবার সে আমার বোনদের বকা দিতেন।’

বর্তমান ঈদ উদযাপন সম্পর্কে বলেন, ‘ঈদের দিনটা পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। আর এলাকার ঈদ জামাতে এলকাবাসীর সঙ্গে নামাজ পড়তেই সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। নামাজ শেষে বাসায় সবার সঙ্গে খিচুরী খাওয়া আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য। আমি বাড়ির বড় ছেলে, তাই পরিবারের সবার জন্য ঈদ আয়োজন আমিই করি। আমাদের পরিবার অনেক বড়। ভাই, বোনে, ছেলে মেয়ে, তাদের ছেলে মেয়ে সবাই একসঙ্গে ঈদের দিনটা কাটাই। খুব ভালো লাগে।’

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়