০৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩:১৭, ৬ মে ২০২৪

আপডেট: ১৩:১৯, ৬ মে ২০২৪

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কাউন্সিলর রিপনের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধার দাফন

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কাউন্সিলর রিপনের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধার দাফন

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান খান রিপনের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হায়দার আলী খান আর নেই। রবিবার (৫ মে) রাত ১১ টায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হায়দার আলী খান বিলুপ্ত আদমজী পাটকলের কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর পৈত্রিক ভিটা শরিয়তপুরের নড়িয়ায়। চাকুরী সূত্রে তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলি এলাকায় বসবাস শুরু করেন। তিনি এক ছেলে, ৩ মেয়ে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সোমবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের এম ডাব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তাঁকে আদমজী কবরস্থান কমপ্লেক্সে দাফন করা হয়। এর আগে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেন ফতুল্লা রাজস্ব সার্কেলের এসি ল্যান্ড মো. শাহাদাত হোসেন এর নেতৃত্ব থানা পুলিশের একটি চৌকস দল। 

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজি ইয়াছিন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জুলহাস ভুঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা সহ স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী। 

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হায়দার আলী খান নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারানো মনিরুজ্জামান স্বপনেরও পিতা। ১০ বছর আগে ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক (লিংক রোড) থেকে মনিরুজ্জামান স্বপনসহ অপহরণের শিকার হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিনদিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে তাদের মরদেহ।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়