৫নং ঘাটে স্বস্থির নি:শ্বাস
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: লক্ষ্যার শীতল হাওয়ায় একটু প্রশান্তি যেন সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দেয়। আর তাই নগরবাসীর বিকেলের চায়ের আড্ডা আর একটু স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলার পছন্দনীয় স্থানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে শহরের পাঁচ নং ঘাট। যেখানে রয়েছে নদীর তীরের শীতল হাওয়া ও চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য। শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় ঘেঁষে নির্মিত ওয়াকওয়ের সৌন্দর্য্য বাড়াতে নাসিক কাজ করছে। যদিও শীতলক্ষ্যা এখন আর আগের মত নেই, দূষনে-শোষনে হারিয়েছে তার পূর্বের জৌলুস। তবুও মানুষ একটু প্রশান্তির খোঁজে শহরের ব্যস্ততা এড়াতে ভীড় জমায় নদীর পাড়ে এসে। শীতলক্ষ্যার শীতল বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে নিতে চায় বুকভর্তি বাতাস।
৫নং ঘাটের ওয়াকওয়ের দুইপাশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছালি। নারিকেল গাছ, কৃষ্ণচূড়া গাছ সহ আরও নানান গাছ। গাছের ফুল এই স্থানের সৌন্দর্য্যকে বাড়িয়ে তুলেছে দ্বিগুন। গাছের ছায়ায় চারিদিকে শীতল বাতাস বয়। মানুষের বসে থাকার জন্য তৈরী করা হয়েছে বসার ব্যবস্থা।
নৌকা নিয়ে ভেসে বেড়ানোর অনুভূতি সত্যিই অন্যরকম। নদী প্রেমী মানুষের জন্য দারুন একটি স্থান। বিকেল হলেই সৌন্দর্যের টানে মানুষের ভীড় জমে এখানে। ফলে তৈরী হয়েছে খাবারের কিছু ভ্রাম্যমান দোকান। নানা ভাবে সাজানো এই দোকানগুলো। ভ্রাম্যমান দোকান হলেও খাবার মজাদার হওয়ার কারণে মানুষের পদচারনা থাকে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত।
‘বিন্দুস জুস কর্নার’ সহ সেখানে রয়েছে আরও একাধিক দোকান। যেখানে পাওয়া যায় ভিন্ন ভিন্ন ধরনের খাবার। বিশেষ করে কফি, ফুচকা, চটপটি সহ পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের চা। বিকাল হলেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সাথে সাথে এখানকার খাবারের লোভে মানুষের ঢল নামে।
কিন্তু অসেচতনতার কারণে ওয়াকওয়ের কিছু জায়গায় দেখা যায় অপরিচ্ছন্নতার দৃশ্য। মানুষ সেখানে ঘুরতে এসে নিজেরাই ফেলছে চকলেট, চিপসের খালি প্যাকেট, পানির খালি বোতলসহ নানা কিছু। এতে কিছু জায়গা অপরিচ্ছন্নতায় ঘেরা। এর জন্য নেওয়া হয়নি কোন ধরনের ব্যবস্থা। নিরাপত্তার ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি। তবুও স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলতে নগরবাসী ছুটে আসছে এখানে।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম