দর্শকদের আগ্রহের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সিনেস্কোপের চলচ্চিত্র উৎসব
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশি চলচ্চিত্র উৎসবের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের প্রথম আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ ‘সিনেস্কোপ’র যাত্রা শুরু হয়। সপ্তাহব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসবের মোট ১৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। যার দর্শক উপস্থিতি নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট সিনেস্কোপ কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি শো’তেই প্রায় হাইজফুল ছিল বলেও জানান তারা। যাতে উৎসাহিত হয়ে আগামী দিনগুলোতে সিনেস্কোপকে কেন্দ্র করে নানা রকম পরিকল্পনার কথা ভাবছেন বলেও জানান তারা।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ শো ‘ঘুড্ডি’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সিনেস্কোপের ‘বাংলাদেশি চলচ্চিত্র উৎসব’। সন্ধ্যায় নগরীর আলী আহম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তন ও পাঠাগারে অবস্থিত সিনেস্কোপের তৃতীয়-শো ‘দিপু নাম্বার টু’ শেষে কথা হয় সিনেস্কোপ থেকে বের হয়ে আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে।
তাহমিনা হোসেন একজন চাকরীজীবী। চাকরীর ফাঁকে ছুটির দিনে দুই মেয়ে ও মা’কে নিয়ে এসছেন ছবি দেখতে। তাহমিনা হোসেন বলেন, ‘সিনেমা হল ও চলচ্চিত্র দেখাকে কেন্দ্র করে অনেক স্মৃতি আছে। তবে আমার মেয়েদের তা নেই। আমি আমার মেয়েদের আমার মতোই অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি দিতে চাই। এছাড়া দিপু নাম্বার টু একটি শিক্ষনীয় চলচ্চিত্র। যা তাদের অনুপ্রাণিত করবে।’
তরুণ আব্রাহাম হোসেন বলেন, ‘প্রায় সময় বন্ধুদের সঙ্গে ঢাকা চলে যাই সিনেমা দেখতে। নারায়ণগঞ্জে একটি সিনেপ্লেক্স হয়েছে জেনে বন্ধুকে নিয়ে চলে এলাম। ছোটবেলার খুব পছন্দের সিনেমা দিপু নাম্বার টু। তাই বিশেষ করে এটার জন্যই এসেছি।’
আব্রাহামের বন্ধু জাহিদ আলম বলেন, ‘ফেসবুকের কিছু স্ট্যাটাস থেকে সিনেস্কোপের কথা প্রথম জানতে পারি। ছোট হলেও পরিবেশ খুব ভালো। অনেকটা ঢাকার সিনেপ্লেক্সের মত। আগামীতে পরিবার নিয়ে আসার মত।’
সিনেস্কোপের ফুড ম্যানেজার সৌরভ সাহা বলেন, ‘দর্শক উপস্থিতি বেশ ভালো ছিল। যা আমাদের অনেক উৎসাহ যুগিয়েছে। ‘ছুটির ঘন্টা’ সিনেমাটি ছিল আমাদের হাউজফুল। দুইটি শো’য়ে এ সিনেমাটি দেখানো হয় আর দুটিই হাউজফুল। অনেকেই টিকেট না পেয়ে ফিরে দেছেন। তাই কর্তৃপক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবারের ৪টি শো’তেই ‘ছুটির ঘন্টা’ সিনেমাটি দেখানো হবে। শনিবারের এক তৃতীয়াংশ টিকেট ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে।’
সিনেস্কোপের স্বেচ্ছাসেবী আহমেদুর রহমান তনু বলেন, ‘দর্শকদের উপস্থিতিতে আমরা অনেক খুশি। প্রতি শো’তেই আমাদের ৫০ শতাংশের বেশি টিকেট বিক্রি হয়েছে। আশা করি, আগামীতে দর্শনার্থীদের সংখ্যা আরো বাড়বে। তাই আগামী দিনগুলোতে বিভিন্ন রকম প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া আমাদের চলচ্চিত্র গ্যালারি দেখে অনেকেই এদিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। অনেক দর্শনার্থী সিনেমার অপেক্ষা করতে করতে এখানে সেলফি তুলছেন।’
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম