চৈত্র সংক্রান্তির আয়োজনে শীতলক্ষ্যা বাঁচানোর তাগিদ

‘মরা নদীর আন্ধারে বোধের প্রদীপ জ্বালি’ প্রতিপাদ্যে নারায়ণগঞ্জে চৈত্র-সংক্রান্তি ও আলোর ভাসানের আয়োজন করে নাট্য সংগঠন ‘উঠান থিয়েটার’৷
রোববার সন্ধ্যায় শহরের পাঁচ নম্বর খেয়াঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে ভাসান গানের সুরের সঙ্গে আলোর ভাসানের মধ্য দিয়ে এ আয়োজন শুরু হয়৷
পরিবেশিত হয় গান, কবিতা, বাঁশির সুর, নৃত্য ও পারফর্মিং আর্ট৷
হংসধ্বনি রাগে বাঁশি বাজান শিল্পী তপু দাস৷ একক গান পরিবেশ করেন শিল্পী নীল আচার্য্য, কৃষাণ বর্মন, দীপ বাপ্পী, রঞ্জন কিশোর, রবি বাউল ও ইকবাল৷
এছাড়া গানের দল নিষিদ্ধ ও গঙ্গাফড়িং-এর পরিবেশনাও ছিল৷
কবিতা আবৃতি করেন মাসুদ হাসান ও বিপ্লহ সাহা৷
এ আয়োজনে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিল্পী রফিউর রাব্বি৷ তিনি বক্তব্যে সংকটাপন্ন শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দেন৷
উঠান থিয়েটারের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান উঠান থিয়েটারের সমন্বয়ক প্রসেনজিৎ দাস৷
তিনি বলেন, “আমি নারায়ণগঞ্জের সন্তান৷ এ শীতলক্ষ্যা নদীর প্রতি আমার অনেক ঋণ ও দায়বদ্ধতা আছে৷ উঠান থিয়েটার এ নদীর পাড়ে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল৷ ওই দিনটিকে স্মরণ করে ১১তম বর্ষে চৈত্র-সংক্রান্ত ও আলোর ভাসানের আয়োজন৷ এখানে নারায়ণগঞ্জের শিল্পীরা বিভিন্ন পরিবেশনা করেন৷ আমাদের মূল উদ্দেশ্য— বছরের যাবতীয় জঞ্জাল, অন্ধকার নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে বোধের প্রদীপ জ্বালানো৷”
এ অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয় শীতলক্ষ্যার বুকে বৈঠা বেয়ে যৌবন কাটানো প্রবীণ মাঝি আব্দুল জলিল৷ এ সময় তিনি তার অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন শীতলক্ষ্যায় নৌকা চালানোর অভিজ্ঞতা জানান৷
শীতলক্ষ্যা নদীর বিদ্যমান অবস্থাকে ‘নদী মরে গেছে’ উল্লেখ করেে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি৷