নারায়ণগঞ্জকে বিশেষ শ্রেণির জেলা ঘোষণা প্রক্রিয়া শুরু

নারায়ণগঞ্জকে বিশেষ ক্যাটাগরির জেলায় উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। গত ২২ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেছ উর রহমান নারায়ণগঞ্জ পরিদর্শনে এলে তিনি বিষয়টি উপস্থাপন করেন।
জেলার ভৌগলিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এটি বিশেষায়িত জেলা হিসেবে ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক। সিনিয়র সচিব বিষয়টি বিস্তারিত লিখিত আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশনা দেন বলে জেলা প্রশাসকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়।
নারায়ণগঞ্জ বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র। ৬৮৪.৩৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই জেলার জনসংখ্যা ৫০ লাখের বেশি। বস্ত্র, পোশাক, ডাইং-প্রিন্টিং, জাহাজ নির্মাণ ও প্লাস্টিক শিল্প এখানে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এছাড়া, দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিসিক শিল্প নগরী ও গুরুত্বপূর্ণ নৌ-বন্দর থাকায় জেলাটিকে বিশেষ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা যৌক্তিক বলে মনে করেন জেলা প্রশাসক।
যদিও এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক, নাগরিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ নারায়ণগঞ্জ জেলাকে বিশেষ ক্যাটাগরির জেলায় উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন। ভৌগলিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক দিক থেকে এ জেলা বিশেষ গুরুত্ব বহন করলেও এটি এখনও ‘বি’ ক্যাটাগরির জেলার তালিকায় থাকায় উষ্মাও প্রকাশ করেছেন অনেকে।
সর্বশেষ গত ১২ মার্চ বিকেলে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ইফতার মাহফিলে চেম্বারের সাবেক সভাপতি মো. মাসুদুজ্জামানও নারায়ণগঞ্জ জেলাকে প্রথম শ্রেণির জেলায় উন্নীত করার দাবি জানান। ওই অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞাও উপস্থিত ছিলেন।
মাসুদুজ্জামান জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্যে বলেন, “রাজস্ব প্রদানে চট্টগ্রামের পরেই নারায়ণগঞ্জের অবস্থান হলেও জেলা হিসেবে নারায়ণগঞ্জ তৃতীয় শ্রেণির। তাই নারায়ণগঞ্জকে প্রথম শ্রেণীর জেলায় উন্নীত করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।”
নারায়ণগঞ্জকে প্রথম শ্রেণির জেলায় উন্নীত করতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাবি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবোর সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম, গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক নেতারা।
দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।