ইজিবাইক চালককে হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনায় গ্রেফতার ৭

ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পর চালক হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জন এবং অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িত থাকার ঘটনায় আরও ৩ জনসহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে নৌ পুলিশ। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো হত্যার সাথে জড়িত এবং অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের লিয়ন (৩২), মো. বোরহান ওরুফে ইমরান ওরুফে সোহেল ওরুফে পিচ্ছি (২১), মো. শাওন বেপারী (২২), মোসা. পারভীন বেগম (২২), শাহীন মোল্লা (৩০), মোহাম্মদ আলী (৫৫) ও মো. আল আমিন সর্দার (৩৮)। এসময় তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাইকৃত একটি ইজিবাইক, নিহত চালকের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন, চালককে অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহৃত চেতনানাশক ওষুধ এবং ইজিবাইক বিক্রির নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার বিকেলে নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেনের স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ১৬ জানুয়ারি কাঁচপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রাধীন এলাকার সাইলো ঘাট সংলগ্ন খাদ্য গুদামের পূর্ব পাশে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে নিহত আব্দুল জব্বারের পরিচয় শনাক্ত হলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে মাহবুব বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত আব্দুল জব্বারের গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। তিনি পরিবারসহ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বসবাস করতেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার আগে তিনি ফতুল্লার একটি গ্যারেজ থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হন।
পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, আটককৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে অতীতের বিভিন্ন ঘটনায় মামলা রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে আরও কারো সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। আমরা মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করবো। তাদেরকে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।