২০ হাজার টিসিবি কার্ড বাতিল করেছে নাসিক

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বরাদ্দ ন্যায্য মূল্যে পণ্য পাওয়ার টিসিবির ২০ হাজার কাগজের কার্ড বাতিল করা হয়েছে। মিথ্যা তথ্য, নিয়ম ভঙ্গ করা ও এক পরিবারে একাধিক টিসিবি কার্ড গ্রহণের মতো অভিযোগে এসব কার্ড বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছে নাসিক কর্তৃপক্ষ। যাদের পুরনো কার্ড বাতিল করা হয়েছে, তাদেরকে যাচাই-বাছাইয়ের পর নতুন কার্ড দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য এক লাখ ১৫ হাজার কার্ড বরাদ্দ দেয় টিসিবি। যার মধ্যে বিভিন্ন সময় সিটি কর্পোরেশনের ৯৮ হাজার কার্ড উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক ওয়ার্ডে ২ জন করে ৫৪ জন ডিলারের মাধ্যমে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, পাঁচ কেজি চাল ও দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারতেন। এতে একজন গ্রাহকের অন্তত ৩৫০ টাকা বা তার বেশি অর্থ সাশ্রয় হতো।
৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সারাদেশে টিসিবি কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সে অভিযোগের ভিত্তিতে অনিয়ম খতিয়ে দেখা এবং অনিয়ম রোধে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। নানা যাচাই-বাছাই শেষে উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা কে এম ফরিদুল মিরাজ বলেন, অনিয়ম রোধে স্মার্ট কার্ড বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর জন্য টিসিবি একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করে, যা জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে প্রার্থী যাচাই-বাছাই করতে সক্ষম। টিসিবি নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করে। এটা করতে গিয়ে দেখা যায়, ভুয়া পরিচয়পত্র, ভুল তথ্য, একই পরিবারের একাধিক সদস্য টিসিবি কার্ড গ্রহণ করেছে। ফলে তাদের কার্ড বাতিল করা হয়।
তিনি আরও জানান, নাসিকের ৯৮ হাজার ভোক্তা ছিল। স্মার্ট কার্ড করার কারণে ২০ হাজার বাতিল হয়ে বর্তমানে ৭৮ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এ ৭৮ হাজার স্মার্ট কার্ড আমরা হাতে পেয়েছি। ইতিমধ্যে বিতরণ শুরু হয়ে গেছে।