০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:২৩, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইজিবাইকের চালকদের অবরোধে ভোগান্তিতে নগরবাসী

ইজিবাইকের চালকদের অবরোধে ভোগান্তিতে নগরবাসী

অটোরিকশা চালকরা বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। চাষাঢ়া চত্বরে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তারা রাস্তা অবরোধ করে রাখেন, যার ফলে নগরীতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

দুপুর দুইটার দিকে চাষাঢ়া চত্ত্বর, রাইফেল ক্লাব সংলগ্ন লিংক রোড, নবাব সলিমুল্লাহ রোড এবং চাষাঢ়া-পঞ্চবটী সড়কে ইজিবাইক চালকরা তাদের গাড়ি থামিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। তারা শহরের ভেতরে যানবাহন প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেন, এবং কেউ প্রবেশ করতে চাইলে তাদের উপর চড়াও হন। পরবর্তীতে পুলিশ ও ছাত্ররা এসে তাদের সরে যেতে অনুরোধ করলে তারা বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থান নিতে শুরু করেন।

ইজিবাইক চালকরা জানান, ট্রাফিক পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা শহরে তাদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছে এবং যানবাহন ডাম্পিং করে জরিমানা করছে। তারা তাদের দাবি তুলে ধরেন যে, তাদের শহরে ঢুকতে দেওয়া উচিত, অন্যথায় যানবাহন চালাতে পারবে না।

নগরীতে ইজিবাইকের অবৈধ স্ট্যান্ড এবং সড়কে অতিরিক্ত ইজিবাইকের কারণে যানজট একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি সভায় এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়, যেখানে ইজিবাইকের শহরের মূল সড়কে প্রবেশ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে যানজট কিছুটা কমেছে।

অবরোধের ফলে নাগরিকদের জন্য চলাচল অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বৃদ্ধ এবং কর্মজীবী মানুষদের জন্য এটি ছিল বড় একটি ভোগান্তি। চাষাঢ়া থেকে মন্ডলপাড়া পর্যন্ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, এবং অনেকে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে বাধ্য হন।

এক পর্যায়ে, ইজিবাইক চালকরা ডিসি অফিস অভিমুখে রওনা হন। সেখানে তারা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বির সাথে আলোচনা করেন। তাদের ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, কিন্তু প্রশাসন তাদের সাথে আলোচনা করে আগামীকাল সিটি করপোরেশনের সাথে বসে কথা বলার আশ্বাস দিলে তারা ডিসি অফিস ত্যাগ করেন।

অবরোধের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক যাত্রী রীণা সাহা বলেন, "আমার অসুস্থ মাকে নিয়ে এক ঘণ্টা রিকশায় বসে ছিলাম। এখন পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে।" মিশনপাড়া নিবাসী আব্দুল সাত্তার বলেন, "এটা সভ্য সমাজের আচরণ নয়। প্রশাসনের উচিত তাদের নিয়ন্ত্রণ করা।"

সর্বশেষ

জনপ্রিয়