১৪ জানুয়ারি ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৬:৫৮, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগে ভ্যান চালকদের বিক্ষোভ

পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগে ভ্যান চালকদের বিক্ষোভ

পুলিশের বিরুদ্ধে ‘রেকার বিলে’র নামে ভ্যান চালকদের হয়রানির অভিযোগ তুলে চাষাঢ়া চত্তর অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছে ব্যাটারি চালিত ভ্যান মালিক-শ্রমিক সংহতি। পরে পুলিশের আশ্বসে অবরোধ তুলে নেয় তারা। 

রোববার (১২ জানুয়ারি) সাড়ে ১১ টা থেকে ১২টা পর্যন্ত আধা ঘন্টা চাষাঢ়া অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। এর আগে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, জেলা ব্যাটারি চালিত ভ্যান মালিক-শ্রমিক সংহতি'র জামাল সর্দার, রনি সর্দার, মান্নান সর্দার, ফরিদ মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. শরীফ, মো. আইয়ুব, মো. রনি প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জে রেকার বিলের নামে পুলিশ প্রতিদিন ভ্যান চলকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছে। সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স থাকলেও সরকারি আদেশ অমান্যের কথা বলে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করছে। অনেক ক্ষেত্রে এ টাকা আত্মসাতের জন্য ‘জাল’ রেকার বিল ব্যবহার করছে যা সরকারি কোষাগারে জমা হয় না। 

ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ভ্যান চালকতদের হাতে মাদক দিয়ে তাদের আটক এবং টাকা নেয়ার অভিযোগ করেন বক্তারা।

শহরের থান কাপড় এলাকার ভ্যানচালক আব্দুর রাজ্জাক (৩৫) জানান, গত মঙ্গলবারে দুপুরে চাষাঢ়া দিয়ে ভ্যান নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে আটকায় এবং বলে, পুলিশ লাইন্সে কিছু মালামাল রয়েছে সেগুলো গন্তব্যে পৌছে দিতে হবে। তাদের কথা মত রাজ্জাক পুলিশ লাইন্সে গেলে ভ্যানের লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে রেকার বিলের নামে এক হাজার টাকা জরিমানা করে। 

তরিকুল সুজন বলেন, ভুক্তভোগী ভ্যানচালক আমাদের বিষয়টি জানালে আমরা ফোনে পুলিশের কাছে জানতে চাই কেন তাকে জরিমানা করা হলো। পরবর্তীতে ভ্যানচালককে জরিমানার টাকা ফেরত দেয় পুলিশ। পুলিশ যদি ন্যায় সঙ্গত কারণে জরিমানা করতো এবং তা সরকারি কোষাগারে জমা হতো তাহলে সে টাকা ফেরত দেয় কিভাবে?

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে নারায়ণগঞ্জে কোন চাঁদাবাজি চলবে না। যেখানে চাঁদাবাজি হয়েছে সেখানে ছত্র-জনতা অভ্যুত্থান করে চাঁদাবাজি বন্ধ করেছে। এই গণঅভ্যুত্থানের পরেও পুলিশ নানাভাবে চাঁদাবাজি করছে। এসব চলতে দেয়া যায় না। যারা চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির আহম্মেদ বলেন, যদি কেউ অবৈধভাবে কিছু করে, অন্যায় কাজ করে থাকে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জানাবো। আর রেকার বিল যদি বৈধভাবে নেয়া হয় তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়