’ওসমান পরিবারের সহযোগীরা এখনো বহাল তবিয়তে’
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর হত্যার বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ সাড়ে এগারো বছর পরও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার পিতা রফিউর রাব্বি। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচিতে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনার নির্দেশে বিচার বন্ধ উল্লেখ করে রফিউর রাব্বি বলেন, “শেখ হাসিনা দেশে দুর্বৃত্ত, মাফিয়া ও গডফাদারদের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তার নির্দেশে ত্বকী হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করলেও তাতে এখনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জে হত্যা, দখল, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে দুর্বিসহ পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। তারা এখন পালিয়ে গেলেও নতুন দুর্বৃত্তচক্র নারায়ণগঞ্জে গডফাদার হওয়ার চেষ্টায় মরিয়া।”
আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন: ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব হালিম আজাদ, দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ভবানী শংকর রায়, সিপিবি জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদ জেলা সদস্য সচিব আবু নাইম খান বিপ্লব, ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি মাহমুদ হোসেন, সমমনা সংগঠনের সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা।
বক্তারা বলেন, “শামীম ওসমান ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। তাদের সহযোগীরা এখনো বহাল তবিয়তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমানসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।”
সমাবেশে ত্বকী, সাগর-রুনি, তনুসহ নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করা হয়।