নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও বর্ষবরণে ছিল আতশবাজি ও ফানুস
নতুন বছরের প্রথম প্রহর উদযাপনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আতশবাজি, পটকা ফাটানো এবং ফানুস ওড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। মুহুর্মুহু পটকার শব্দে কেঁপে উঠেছে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত। সেই সঙ্গে আতশবাজির ঝলকানি এবং ফানুসের আলোয় রঙিন হয়ে উঠেছিল আকাশ।
উন্মুক্ত স্থানে বর্ষবরণের কোনো আয়োজন করার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিভিন্ন এলাকার উন্মুক্ত মাঠে, বহুতল ভবনের ছাদে সংগীতানুষ্ঠান, খাওয়া-দাওয়া এবং আনন্দ উদযাপনের আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো। রাত ১২টার আগেই শুরু হয় পটকা ফাটানো এবং আতশবাজি। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় আলোর ঝলকানি দেখা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্ট, বন্দর উপজেলার শায়রা গার্ডেন ও রিসোর্টসহ বিভিন্ন উপজেলায় অবস্থিত রিসোর্টেও থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে বিশেষ পার্টি আয়োজন করা হয়।
আতশবাজি, পটকা ফাটানো এবং ফানুস ওড়ানো বন্ধ করতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা কার্যকর হয়নি। বরং শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এসব ঘটনা অবাধে ঘটতে দেখা গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর না হওয়া নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ আনন্দ উদযাপনের পক্ষ নিয়েছেন, আবার অনেকেই নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
সাংবাদিক সৈয়দ আল সিফাত লিংকন ফেসবুক পোস্টে বলেন, "আনন্দ করেন আপনেরা, সমস্যা নাই! অন্যদের কষ্ট দিচ্ছেন কেন? শিশু ও অসুস্থদের কথাও চিন্তা কইরেন!"