‘আমরা ৯৭ নারায়ণগঞ্জ’ এর আত্মপ্রকাশ
শিশু-কিশোরদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ‘আমরা ৯৭ নারায়ণগঞ্জ’ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এ উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন স্কুলের এসএসসি ব্যাচ ৯৭ এর শিক্ষার্থীরা শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) শহরের শেখ রাসেল নগর পার্কে একটি আনন্দ উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ‘আমরা ৯৭ নারায়ণগঞ্জ’ এর প্রতিষ্ঠাতা মো. সাজ্জাদ হোসেন, এড. রাশেদ ভূইয়া, এমএ মান্নান ভূঁইয়া, সানোয়ার কবির নিতু ও মাসুম আহম্মেদ বেলুন উড়িয়ে সেতু বন্ধনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ব্যাচ ৯৭ এর বন্ধুদের স্ব-পরিবারে মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সৃজনশীল আড্ডায় মেতে ওঠেন সবাই।
এছাড়াও অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৃজনশীল বন্ধু আনন্দ, রিমু, নাসরিন, বাপ্পী ও মান্নান ভূঁইয়া। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল হোসেন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে থিম সং পরিবেশন করেন ইমাম হোসেন বাপ্পী, সঙ্গীত পরিবেশন করেন লিটন গাঙ্গুলি ও শহর বাউল জনসহ অন্যান্য শিল্পীরা।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. সামসুল আলম আজাদ, সহকারী অধ্যাপক শহীদ আহম্মেদ মিঠু ও নারায়ণগঞ্জ আদর্শ স্কুলের বন্ধু প্রকৌশলী আসিফুর রহমান।
এছাড়া অনুষ্ঠানের আয়োজনে বিভিন্ন উপ-কমিটি, যেমন অর্থ উপ কমিটির শাকিল, আপ্যায়ন কমিটির নুরুল হুদা মহব্বত, ফজলু, কাদের, শামীম, নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষায় মাহাবুব জয়, সাজসজ্জায় সবুজ সাহা, এবং সামগ্রিক পর্যাবেক্ষণে তোফাজ্জল হোসেন, সামছুল আলম, শরিফুল সহ বিভিন্ন সদস্যরা সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
মিডিয়া কর্মী ফরিদ আহম্মেদ বাঁধন, মাজহারুল ইসলাম, জিয়াউর রহমানসহ অন্যান্য গুণী বন্ধুরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
৯৭ ব্যাচের বন্ধুরা উচ্ছ্বাসের সাথে একে অপরের সহযোগিতায় পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণ করেন। এসএসসি ও এইচএসসি সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সন্তানদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়, একই সাথে খেলোয়াড়দেরও সংবর্ধনা দেয়া হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং উপস্থিত সবার জন্য র্যাফেল ড্র আয়োজন করা হয়, যেখানে ১০টি পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়া, শিশু-কিশোররা কোরআন পাঠ, ছড়া, কবিতা ও গজল পরিবেশন করে। প্রায় ৫ শতাধিক সদস্যসহ এই আয়োজনে বিকেলের নাস্তা, চটপটি, চিতইপিঠা, ভাপাপিঠা, কফি ও রাতে খাবার পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে, সব বন্ধু পরবর্তী আয়োজনের প্রস্তুতির জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিদায় নেন।