২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:১০, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

‘ছিনতাইকারী’ অভিযোগে দুই যুবককে গণপিটুনি, নিহত এক

‘ছিনতাইকারী’ অভিযোগে দুই যুবককে গণপিটুনি, নিহত এক
কামরুল

নারায়ণগঞ্জের পৃথক দৃটি স্থানে ছিনতাইকারী অভিযোগে দুই  যুবককে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। এতে মো. কামরুল (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন মো. ফেরদৌস (৩৫) নামে আরেক যুবক। 

রোববার রাত ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামরুলের মৃত্যু হয়।

এর আগে দুপুর ১টায় ফতুল্লার শিয়াচর তক্কার মাঠ এলাকায় তাকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় লোকজন।

নিহত কামরুল চাঁদপুর জেলার হাইমচর সদর থানা এলাকার হুমায়ুন কবির ওরফে জাহাঙ্গীরের ছেলে। সে পরিবারের সাথে শিয়াচর তক্কার মাঠ এলাকায় বসবাস করতেন।

কামরুলের ঘটনার পর রাত রাত তিনটায় সদর থানার ডিআইটি মিন্নত আলী শাহ্ মাজার এলাকায় ফেরদৌস গণপিটুনির শিকার হন। ফেরদৌস ডিআইটির পাশের এলাকা দেওভোগের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।

হতাহত দুজনই এলাকায় পেশাদার ছিনতাইকারী হিসেবে পরিচিত।

কামরুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, গণপিটুনির খবর পেয়ে পুলিশ কামরুল নামে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়নগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত দশটায় সেখানেই কামরুলের মৃত্যু হয়।

নিহত কামরুলের বিরুদ্ধে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগসহ ফতুল্লা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, তার মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ডিআইটি এলাকার গণপিটুনি বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার ভোরে ডিআইটি মিন্নত আলী শাহ্ মাজার এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মো. ওয়াজেদ সীমন্ত (২০) নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমান্তের মৃত্যু হয়।

এই ঘটনার পর একই স্থানে সোমবার রাতে স্থানীয় লোকজন ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে ফেরদৌস নামের যুবককে গণপিটুনি দেয়। পরে কে বা কারা তাঁকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গেলে জানা যায় ফেরদৌসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে গেছেন। আমরা সীমান্ত হত্যার পাশাপাশি গণপিটুনির ঘটনাটিকেও গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।

এদিকে হাসপাতালের রেজিস্টার খাতায় দেয়া ফেরদৌসের ঠিকানা অনুযায়ী খোঁজ করে সেখানে তার কোন স্বজন পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ফেরদৌসের বাবা মা কেউ বেঁচে নেই। ফেরদৌস বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে থাকে। এলাকাবাসী তাকে ছিনতাইকারী হিসেবেই চেনে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়