জমে উঠেছে গরম পোশাকের বেচাকেনা
দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। নারায়ণগঞ্জ শহরে এখনও শীতের তীব্রতা না দেখা গেলেও শেষ রাতে গায়ে কাঁথা জড়াতে হয়। তীব্র শীত পড়ার আগেই গরম কাপড় কিনতে শুরু করে দিয়েছেন নগরবাসী। তবে, মার্কেটগুলোর তুলনায় ফুটপাতে হকারের পসরায় ক্রেতার ভিড় বেশি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) চাষাঢ়া বঙ্গবন্ধু সড়ক, হকার মার্কেট ও কালিবাজারে দেখা যায় ফুটপাত ও দোকানগুলোতে শীতের পোশাক ক্রেতাদের ভিড়।
নারায়ণগঞ্জের ২ নম্বর রেলগেটে ফুটপাতের উপর প্রায় ৩০ ধরেই শীতের পোশাক বিক্রি করছেন শামসুল ইসলাম। চট্টগ্রাম থেকে কাপড় এনে বিক্রি করেন তিনি। এই শীতের পোশাক বিক্রি করেই সংসার চলে তার।
শামসুল বলেন, ‘এখনও শীত তো পড়েই নাই। লোকজন কিনতেছে। টুকটাক বিক্রি হচ্ছে। আরেকটু শীত পড়ল বেচাকেনা বাড়বো।’
একই কথা বললেন মনির হোসেন নামে আরেক বিক্রেতা। তার ভাষ্য, ‘বেচাকেনা এখন একটু কম। তবে আর একটু শীত পরলে বেচাকিনা পারবে। গত বছর থেকে এবার একটু দাম বেশি গরম কাপড়ের। আমরাও বেশি দিয়ে কিনে আনছি।’
কালিরবাজারে ফুটপাতে গরম কাপড় কেনার সময় কথা হয় মনিরুল নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সবকিছুরই তো দাম বাড়ে। গরম কাপড়েরও তাই। দোকানিগো লগে দরদাম কইরা তারপর মিললে একটা কিনমু।’
বাচ্চার জন্য শীতের পোশাক ক্রয় করতে এসেছেন আসমা বেগম। তিনি জানালেন, ‘এবার শীতের পোশাকের দাম তেমন বাড়েনি। বাচ্চার জন্য আপাতত একটা জ্যাকেট দেখছি। পরে নিজেদের জন্যও নেবো।’