বক্তাবলীর লেংটার মেলা বন্ধের দাবিতে ডিসি ও এসপিকে স্মারকলিপি
নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলী রাধানগরের লেংটার মেলা বন্ধের দাবিতে ডিসি ও এসপিকে স্মারকলিপি দিয়েছে বক্তাবলী পরগনা মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটি। তাদের অভিযোগ মেলার নামে এখানে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা হয়। সোমবার (২ ডিসেম্বর) কমিটির পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
এসময় জাতীয় ইমাম সমাজ বক্তাবলী সভাপতি মাওলানা বেলাল হোসাইন বলেন, গত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে কতিপয় কুচক্রী মহল স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রতি বছর লেংটার মেলার নামে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা করে আসছে। রীতিমতো কোমলমতি যুবকদের মাদকে আকৃষ্ট করছে। নারী-পুরুষ ওপেন গাজা খাচ্ছে।গান-বাজনা থেকে শুরু করে নারীরা অবাধে বিচরণ করে খারাপ কাজে লিপ্ত হচ্ছে। আমরা এই বেয়াপনা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সোলেমান লেংটা যদি আল্লাহর ওলী হয়, তাহলে পরিবেশ সুষ্ঠু রেখে আমরা সুশৃঙ্খলভাবে দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করবো। কিন্তু এভাবে অশ্লীলতা বেহায়াপনা চলতে পারে না। আমরা ডিসি ও এসপি অফিসে স্মারকলিপি প্রদান করেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আলীরটেক মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আতাউল হক সরকার, হাজীপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মুফতি মাহমুদ হাসান, বক্তবলী পরগনার কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড মহাসচিব মুফতি সাইদুর রহমান সরকার, জাতীয় ইমাম সমাজ সেক্রেটারি মুফতি আরিফুর রহমান, প্রসন্ন নগরের সমাজ সেবক আমজাদ হোসেন, ফতুল্লা থানা ওলামা দল নেতা হাফেজ মহসীন আহমদ, খিদমাতুল উম্মাহ দারুল কোরআন মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ইব্রাহীম খলীল, ডিগ্রিচর মারকাজুল হুদা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাদ্রাসাতুস সুফিয়া শিক্ষা সচিব মুফতি জহিরুল ইসলাম, বক্তাবলী হামিউস সুন্নাহ মহিলা মাদ্রাসার নায়েবে মোহতামিম মুফতি মাহফুজুর রহমান, বক্তাবলী হামিউস সুন্নাহ মহিলা মাদ্রাসার মোহতামিম মুফতি ইমরান মীর, বক্তাবলী হামিউস সুন্নাহ কওমি মাদ্রাসার মুফতি আবুল কালাম ফরায়েজী, খেলাফত মজলিসের নেতা হাফেজ কবির, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলন সভাপতি কামাল হোসেন প্রমূখ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছরের ৮ থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ দিন ব্যাপী চলে হযরত শাহ্ সোলেমান লেংটা পাগলের ওরশ মোবারক ও মেলা। এবার পালিত হবে শাহ্ সোলেমান লেংটার ১০৫তম ওরশ শরীফ ও মেলা। প্রতিবছর মেলায় হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে বলে জানা গেছে।
এর আগে নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলাম ও স্থানীয় মুসল্লিদের আপত্তিতে বন্ধ হয়েছিল ‘মহতী সাধুসঙ্গ ও লালন মেলা’। জেলা প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় এই মেলা বন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়ে স্থানীয় প্রশাসন।