গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ ৮৩ পরিবারকে অনুদান দিল জেলা পরিষদ
নারায়ণগঞ্জে গত জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ ৮৩ পরিবারকে বিশ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে জেলা পরিষদ।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আহত ও শহীদদের স্মরণ সভায় এই অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। এছাড়া পঙ্গুত্ব বরণকারী তিনজনকে একটি করে মোট তিনটি হুইল চেয়ারও দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভার শুরুতেই সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে নিহতের স্বজন ও আহতরা গণ অভ্যুত্থানের বিভীষিকাময় ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন।
স্মরণ সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মুশিউর রহমান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা,
র্যাব-১১ ব্যাটেলিয়ানের সহকারি পরিচালক মো. শামসুর রহমান, জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফারহানা মানিক মুনাসহ গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া ছাত্র সংগঠকবৃন্দ।
স্মরণ সভা ও চেক বিতরণ শেষে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
স্মরণ সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, এখনও যারা জেলা প্রশাসনের করা আহত ও শহীদদের তালিকায় স্থান পাননি তাদের পরিবার যোগাযোগ করলে সরকারি তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আমরা তাদেরকেও জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের ফান্ড থেকে সাধ্যমতো অনুদান দেয়ার চেষ্টা করব। এছাড়া রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষিত অনুদান বিভিন্ন জেলায় দেয়া হলেও নারায়ণগঞ্জ জেলায় এখনও বরাদ্দ দেয়া হয় নি। রাষ্ট্রীয়ভাবে সেই বরাদ্দ এলে তা তালিকাভুক্তদের মধ্যে যথানিয়মে বিতরণ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
জেলা পরিষদ থেকে এই আর্থিক অনুদান পেয়ে ভুক্তভোগিদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে। তবে আহতদের স্থায়ী চিকিৎসার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।