বসুন্ধরা পেপার মিলসে বিস্ফোরণে দগ্ধ ১০ শ্রমিক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন৷ তারা রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে চিকিৎসাধীন৷
দগ্ধ শ্রমিকরা হলেন, বিপ্লব (২৮), আল আমিন (২৪), মো. তামজিদ শেখ (৪০), মো. তন্ময় (২৫), মো. শাওন (২৪), মো. নূর ইসলাম (২৩), মো. হাসান (২২), হাসান (১৮), চঞ্চল (২৬) ও মো. আরিফ (২৭)।
তাদের মধ্যে বিপ্লব ২০ শতাংশ, আল আমিন ১৫ শতাংশ, মো. তামজিদ শেখ ১২ শতাংশ, মো. তন্ময় ১১ শতাংশ, মো. শাওন ৮ শতাংশ, মো. নূর ইসলাম, মো. হাসান, হাসান ৬ শতাংশ, চঞ্চল ৫ শতাংশ ও মো. আরিফের শরীর ৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুপুরে প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন শেষে সোনারগাঁ ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার সুজন কুমার হালদার বলেন, ‘বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের ইউনিট-১ এর ভেতরে একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷ সকাল ১০টার দিকে কারখানাটির এয়ার ফ্রেশনার তৈরির অংশে শ্রমিকরা কাজ করার সময় কারখানাটির ব়্যাপিং মেশিন অতিরিক্ত গরম হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে৷ তখন সেখানে থাকা এয়ার ফ্রেশনারের বেশকিছু বোতল বিস্ফোরিত হয়ে সেখানে থাকা শ্রমিকরা দগ্ধ হন৷ তাৎক্ষনিক কারখানার নিজস্ব ফায়ার ইউনিট আগুন নিভিয়ে ফেলে। দগ্ধদের হাসপাতালে নেয়া হয়।’
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (নারায়ণগঞ্জ-২) উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মন্নান বলেন, ‘সকালে কারখানার পক্ষ থেকে আগুনের খবর জানানো হয়৷ কিন্তু ফায়ার সার্ভিস রওয়ানা হবার আগেই আগুন নিভে গেছে বলে ফের কারখানা থেকে জানানো হয়৷ তখন আমাদের বিস্ফোরণ বা দগ্ধের বিষয়টি জানানো হয়নি৷ পরে দগ্ধের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।
এঘটনায় বসুন্ধরা পেপার্সমিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা কারখানার সামনে গেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকার কথা বলে নিরাপত্তাকর্মীরা সংবাকর্মীদের কারখানার ভেতর প্রবেশ করতে দেয়নি।