১৩ ঘন্টায়ও নেভেনি মেঘনার টিুস্য কারখানার আগুন, হেলে পড়েছে ভবন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের টিস্যু প্রস্তুতকারী কারখানার আগুন ১৩ ঘন্টায়ও পুরোপুরি নেভেনি। এদিকে, ভবনটি একদিকে হেলে পড়েছে এবং উপরের দু’টি তলার মেঝে ধসে পড়েছে বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে স্টিল-স্ট্রাকচারের এ কারখানা ভবনটি।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (নারায়ণগঞ্জ-২) উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মন্নান বলেন, ‘ভবনটি একদিকে হেলে পড়েছে। উপরের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার মেঝেও ধসে পড়েছে। ভবনের ভেতরে ঢুকে অগ্নিনির্বাপনের কাজ করা ঝুঁকিপূর্ণ, তাই বাইরে থেকে টিটিএল (টার্ন টেবিল লেডার) দিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে।
‘ভেতরে টিস্যু, কাগজ, টিস্যু তৈরির দাহ্য কাঁচামাল থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। একদিক দিয়ে আগুন নেভানো হলে অন্যদিক দিক দিয়ে জ্বলে ওঠে। এই কারণে সময় লাগছে। পুরোপুরি না নেভানো পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম চলবে।’
সোমবার (১৮ নভেম্বর) ভোর পাঁচটার দিকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকায় মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজের টিুস্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেডের পাঁচতলা একটি ভবনে আগুন লাগে। ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের ছয়টি ফায়ার স্টেশনের ১২টি ইউনিট ও মেঘনা গ্রুপের নিজস্ব ফায়ার টিমের যৌথ চেষ্টায় সকাল নয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
কারখানার একজন কর্মী বলেন, ভবনটি ওয়ার্কশপ ও ওয়ারহাউজ উভয় কাজে ব্যবহার হতো। কারখানাটিতে প্রায় চারশ’ শ্রমিক কাজ করেন। অগ্নিকাণ্ডের দিন ভোরেও কয়েকজন শ্রমিক ছিলেন। আগুন লাগার পরপরই নিরাপদে তারা বের হয়ে আসেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আব্দুল মন্নান বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত কোথায় এবং কীভাবে তা এখনও নিরূপন করা যায়নি। আগুন পুরোপুরি নেভানোর পর তদন্ত কমিটি আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে কাজ করবে।’