অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিতে গিয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৭ শ্রমিক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় রাস্তা খুঁড়ে গ্যাসের অবৈধ সংযোগের কাজ করতে গিয়ে বিস্ফোরণে অন্তত ৭ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
সোমবার রাত এগারোটার দিকে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এ ঘটনায় দগ্ধ শ্রমিক জয় (২০), মো. সুলতান(২৩), মো. মিজান (৩৫), জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), রিপন (৩৮), মো. শাহজালাল (৪৫) ও মো. রাজু (২৪) রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷
তাদের মধ্যে জয়ের শরীরের ২২ শতাংশ, সুলতানের ২০ শতাংশ, মিজানের ১৯ শতাংশ, মো. জাহাঙ্গীরের ১০ শতাংশ, রিপনের ৯ শতাংশ শাহজালালের ৭ শতাংশ ও রাজুর ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানান হাসপাতালটির আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান৷
“মধ্যরাতে সাতজনকে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে চারজনকে ভর্তি করা হয়েছে। আর তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে৷”
মো. রুবেল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সোমবার রাতে কাঁচপুরের সোনাপুর লাভলী সিনেমা হলের সামনে এশিয়ান হাইওয়েতে (ঢাকা বাইপাস) রাস্তা খুঁড়ে এই শ্রমিকরা কাজ করছিল। এসময় একটি গ্যাস লাইন ঝালাই করতে গেলে বিস্ফারণের ঘটনা ঘটে। এতে সাত জন দগ্ধ হন।
“বিস্ফোরণের বিষয়টি রাতে আমাদের কেউ জানায়নি। সকালে খবর পেয়ে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে৷ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, এই শ্রমিকরা তিতাস গ্যাসের একটি মূল সংযোগে আরেকটি সাব সংযোগ ঝালাইয়ের কাজ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে”, বলেন কাঁচপুর ফায়ার স্টেশনের জেষ্ঠ স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম৷
যোগাযোগ করা হলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের সোনারগাঁ জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে নতুন গ্যাস সংযোগ দিচ্ছি না৷ বৈধ গ্যাস সংযোগের কোনো মেরামত বা কাজ করতে হলে আমাদের অবগত করে কাজ করতে হয়৷ এটা পরিষ্কার যে কেউ অবৈধ সংযোগের কাজ করাচ্ছিলেন, তখন বিস্ফোরণ হয়৷”
“বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম সেখানে সকালে গিয়েছিল কিন্তু ব্যস্ত সড়ক থাকার কারণে আমাদের মূল সংযোগটি কী অবস্থায় আছে তা নিরীক্ষণ করে দেখা যায়নি৷ আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি৷”