গ্যাস বিস্ফোরণে স্ত্রী ও সন্তানের পর না ফেরার দেশে সোহাগ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঘরে জমা গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ আটজনের মধ্যে আরও একজন মারা গেছেন৷ এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা চারজনে দাঁড়িয়েছে৷
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে মারা যান সোহাগ (২৩) নামে ওই পোশাক শ্রমিক৷
সোহাগের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল এবং তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানান ডা. শাওন৷
এর আগে গত রোববার তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক রূপালী ও শনিবার দেড় বছরের শিশু কন্যা সুমাইয়া একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান৷ তারা যথাক্রমে ৩৪ ও ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলেন৷
সোহাগ তার স্ত্রী, কন্যাকে নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ডা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন৷ আগুনের ঘটনায় পরিবারের তিনজন সদস্যই মারা গেলেন৷
একই ঘটনায় দগ্ধ আরেক পরিবারের সদস্য রিকশাচালক মো. হান্নান (৪০) গত শনিবার ৪৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় মারা যান৷
গত ৩ মার্চ ভোররাতে লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে জমা গ্যাস বিস্ফোরণের পর আগুনে দু’টি পরিবারের আটজন সদস্য দগ্ধ হন৷
এ ঘটনায় নিহত হান্নানের স্ত্রী পোশাক শ্রমিক নূরজাহান আক্তার লাকি (৩০), তাদের সন্তান জান্নাত (৩), সামিয়া (৯) ও সাব্বির (১৬) এখনও বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন৷