মামলার আসামি বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে থানায় দিলেন ছাত্রদল নেতা

নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পরিবহণে চাঁদাবাজি নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে মামলা দায়ের করলেও অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপিরই একাংশের নেতা মামুনকে থানায় পিটিয়ে সোপর্দ করেন ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহমান ও তার অনুসারীরা।
জানা গেছে, ফতুল্লা মডেল থানায় সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহমান চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা করেন। মামলায় কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন ও তার সহযোগীদের আসামি করা হয়। কিন্তু পুলিশ মামুনকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সোমবার (১০ মার্চ) রাতে মামুন থানায় আসার খবর পেয়ে ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহমান তার সমর্থকদের নিয়ে থানায় উপস্থিত হন। মামুন পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলা হয় এবং থানার ওসির রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১১টার দিকে প্রায় অর্ধশতাধিক লোক থানার সামনে এসে হৈচৈ করতে থাকে এবং একজনকে ধরে মারতে দেখা যায়। এতে থানার ভেতরে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির একাংশের নেতা মামুন ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সাইনবোর্ড এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ঝুট ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। আধিপত্যের জেরে ছাত্রদলের আরেক গ্রুপের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
এর আগে, গত শনিবার মামুন তার সহযোগীদের নিয়ে ছাত্রদল নেতা মাহফুজের গ্রুপের ওপর হামলা চালায়, এতে আব্দুর রহমানসহ কয়েকজন আহত হন।
ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহমান বলেন, “মামুন ও তার দল সাইনবোর্ড এলাকায় পরিবহণ চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। তাদের কারণে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর হামলা হয়। মামলা করেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরে থানায় আমাদের দেখে পালানোর চেষ্টা করলে আমরা তাকে ধরে ওসির হাতে তুলে দেই।”
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ আসামিদের চিনে না। বাদি ও তার লোকজন মামুনকে ধরে থানায় নিয়ে আসে, এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। থানায় মারধরের বিষয়ে আমার সামনে কেউ মারধর করেনি।”