টোল প্লাজায় বাসের ধাক্কায় ছয়জন নিহত: চালক সিদ্ধিরগঞ্জে আটক
বাসের ধাক্কায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বাস চালককে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই র্যাব অভিযান চালিয়ে মিজমিজ এলাকা থেকে চালক মোহাম্মদ নূরুদ্দিনকে (২৯) আটক করেছে। তার বাড়ি ভোলার দৌলতখানের মধ্য জয়নগরে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দুর্ঘটনার পর কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে অটোরিকশায় করে আবদুল্লাহপুরে যান। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নারায়ণগঞ্জে ফুফাতো বোনের বাসায় যান। ওই বাসা থেকে তাকে আটক করে র্যাব।
এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিয়ে দুমড়েমুচড়ে দেয় বেপারী পরিবহনের একটি বাস। এতে প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের চারজন ও মোটরসাইকেলের দুই আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও চারজন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।
এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলম (৪২), তার বোন ফাহমিদা আক্তার (১৭), প্রাইভেট কারের চালক হাবিবুর রহমান (৩৮) ও মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়া (৪২)।