০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রূপগঞ্জে দুই যুবদল নেতাকে পিটিয়ে জখম

রূপগঞ্জে দুই যুবদল নেতাকে পিটিয়ে জখম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেপ্তারের জেরে দুই যুবদল নেতাকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের দড়িকাদী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

আহত দুজন হলেন মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুব দলের সিনিয়র সহসভাপতি মো. ফরহাদ মিয়া ও একই ওয়ার্ডের যুবদল সদস্য মারফত আলী। তাদের মধ্যে ফরহাদ মিয়া রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও মারফত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন৷ 

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত এঘটনায় থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। 

মুড়াপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল রকি বলেন, সন্ধ্যায় ফরহাদ  ও মারফত মোটরসাইকেলে করে রূপসী থেকে মুড়াপাড়া যাচ্ছিল। মোটরসাইকেলটি দড়িকান্দী এলাকায় আসলে আগে থেকে সেখানে অবস্থান করা  সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ শাখা ছাত্র দলের সাবেক সদস্য সচিব আকিব হাসান তার অনুসারী মেহেদী হাসান, মো. পাপ্পু ও মো. সজিবের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন মিলে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাদের মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা লোহার পাইপ দিয়ে দুজনকে পিটিয়ে আহত করলে ফরহাদের মাথায় গুরুতর জখম হয়। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। ফরহাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাঁকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে আইসিইউ না পেয়ে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।'

বিরোধের কারন জানতে চাইলে রকি বলেন, 'দেশনেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা রূপগঞ্জ মাদক, সন্ত্রাস ও দখলদারদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানান কর্মসূচি পালন করছি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার নূর উদ্দিন ও মো. সুমন নামে দুজন মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এই দুজন আকিব হাসানের অনুসারী। বিগত সরকারের আমলে আকিব উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাসের হয়ে এলাকার মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। সরকার বদলের পর সে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের হয়ে রাজনীতি করছে। এখনো সে এলাকার মাদক সাম্রাজ্য ধরে রেখেছে। অপর দিকে ফরহাদ ও মারফত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর অনুসারী।  মাদক ব্যবসায়ে বাধা ও রাজনৈতিক বিরোধের কারনেই আকিব তাঁর অনুসারী মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই হামলা করেছে। 

তবে আকিব হাসান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হামলার বিষয় তার জানা নেই বলে দাবি করেন আকিব।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়