রূপগঞ্জে অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় তিন সন্তানের পর এবার পিতার মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ছয় জন দগ্ধের ঘটনায় দুই ভাই ও বোনের পর এবার চিকিৎসাধীন তাদের বাবা বাবুল মিয়ার (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এক পরিবারের চার জনের মৃত্যু হলো।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে করেন বাবুল মিয়ার ভাই মঙ্গল মিয়া। তিনি জানান, তারা হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তার বড় ভাই বাবুল মিয়া পরিবার নিয়ে রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ডহরগাঁও গ্রামের জুলেখা বেগমের ভাড়া বাসার একটি কক্ষে বসবাস করতেন। গত শুক্রবার রাতে কয়েল জ্বালাতে গিয়ে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন বাবুল, তার স্ত্রী সেলিনা বেগম, দুই ছেলে সোহেল ও ঈসমাইল, মেয়ে তাসলিমা ও পুত্রবধূ মুন্নী বেগম।
তাদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে গত মঙ্গলবার বাবুলের দুই ছেলে সোহেল ও ইসমাইল মারা যান। এদিকে বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে মেয়ে তাসলিমা এবং বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান পরিবারের কর্তা বাবুল মিয়া। মরদেহ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সুজাপুর এলাকার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সেলিনা বেগম ও পুত্রবধূ মুন্নী বেগম। তাদের অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে জানান মঙ্গল মিয়া।
এ বিষয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসমাইল, সোহেল ও তাসলিমার পর তাদের বাবা বাবুল মিয়াও মারা যান। তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’