ফতুল্লার মুফতি জিহাদীর বক্তব্য, সিএ প্রেস উইংয়ের বিবৃতি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুইঘর মাহমুদপুর আবতাহী মুজাদ্দেদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদীর একটি বিতর্কিত বক্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি সম্প্রতি দাবি করেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নাকি ইসরায়েলকে এক হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে পাল্টা বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’ নামক ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। এটি দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা এবং অধ্যাপক ইউনূস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়েছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ‘বাংলা ইনসাইডার’ নামক একটি ওয়েবসাইট প্রথম এই বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে। এরপর সেটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ফ্যাক্ট-চেক সংস্থা রিউমার স্ক্যানারসহ একাধিক উৎসের তদন্তে দেখা যায়, এই তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই। ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন কোনো বিবৃতি দেয়নি, বরং তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছে।”
ইসরায়েলি সাংবাদিক ও ফ্যাক্ট-চেকাররাও বিষয়টি গুজব বলে নিশ্চিত করেন। ইউনূস সেন্টার থেকেও এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, এটি একটি ভিত্তিহীন প্রচারণা।
প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে দেশের আলেম, ওলামা এবং সাধারণ নাগরিকদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানানো হয়, “দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে বিভ্রান্তি থেকে দূরে থাকুন এবং অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।”
উল্লেখ্য, মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদী অতীতেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।