রাতে গ্রেফতার, দুপুরে জামিন পেলেন সেই মোকাররম সর্দার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে গ্রেফতারের ১৩ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়েছেন ডিআইজি হারুন ও আওয়ামী লীগ নেতা পলাশ ঘনিষ্ঠ কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোকাররম সর্দার। রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আলীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে সেনাবাহিনী আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বলে জানান ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম৷ পরে সোমবার বেলা তিনটার দিকে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদিউজ্জামানের আদালতে তোলা হলে বাদীপক্ষের সাথে একটি আপোসনামার কপি আদালতে সাবমিট করলে জামিন পান তিনি।
তিনি জানান, গত ২ অক্টোবর অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে শাহ আলম নামে এক ব্যবসায়ী আদালতে একটি মামলা করেন৷ ওই মামলায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক প্রধান ডিআইজি হারুন অর রশীদ, মোকাররম সর্দারসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়৷ মোকাররম সরদারকে এই চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে৷
মোকাররম সর্দার সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত৷ তাদের উভয়ের বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়৷ মোকাররম ব্যবসা সূত্রে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতে থাকতেন বলে জানান স্থানীয়রা৷
জানা গেছে, মোকাররম সর্দারের বাবা নূরুল ইসলাম জীবন জীবিকার তাগিদে ৯০ দশকের দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় আসেন। সেখানে তিনি বড় ছেলে মোকাররমকে সাথে নিয়ে তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। এক সময় শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশের হাত ধরা লোড-আনলোড শ্রমিক হিসেবে নাম লেখান মোকারম। এরপর লোড-আনলোডের শ্রমিকদের সর্দার হন তিনি। ওয়ান-ইলেভেনের সময় কয়েকটি কোম্পানি জাহাজের মালামাল রেখে চলে যায়। ফতুল্লার প্রভাবশালী শ্রমিকলীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশের সহযোগিতায় চাঁদাবাজী সহ জাহাজের মালামাল লুট করে প্রচুর অর্থ-বিত্তের মালিক হন মোকাররম।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, বেলা তিনটার দিকে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদিউজ্জামানের আদালতে তোলা হয় মোকাররম সর্দারকে। এ সময় বাদীপক্ষের সাথে একটি আপোসনামার কপি আদালতে সাবমিট করে জামিন আবেদন করে আসামিপক্ষের আইনজীবী। পরে আদালত শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।